মোস্তফা ওয়াদুদ: আমাদের সমাজে এখন পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্যও অনেক কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। স্বামীর সাথে স্ত্রীও প্রতিদিন সময় ব্যয় করেন কর্মক্ষেত্রে। শিক্ষকতা পেশা থেকে নিয়ে ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, ড্রাইভারসহ প্রায় সব পেশাতেই এখন নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমান পুঁজিবাদতন্ত্র কম পারিশ্রমিক দিয়ে নারী কর্মীদের কাজে নিচ্ছে। আর মোটা পারিশ্রমিকের ভয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে পুরুষ শ্রমিকদের। তাই নারীরাও পুরুষের সাথে সমানতালে ঝুকছে বিভিন্ন পেশায়। এদিকে জীবিকার তাগিদেই নারীদের মধ্যে কারও কারও করতে হয় চাকরি। সরকারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘দেশের সব পেশায় এখন বাড়ছে নারী কর্মীর সংখ্যা।’
নারীদের জন্য পর্দা করা ফরজ। আল্লাহর তায়ালার মহান হুকুম। পর্দার লঙ্ঘন হয়; এমন কোন কাজই নারীদের জন্য শোভনীয় নয়। বিষয়টি স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যেমন দৃষ্টিকটু। তেমনি বিচার দিবসে আল্লাহর কাছেও জবাবদিহি করতে হবে। পর্দার মতো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করার জন্য দাঁড়াতে হবে আল্লাহর কাঠগড়ায়। জ্বলতে হবে জাহান্নামের আগুনে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, পূর্ণ পর্দাসহ কি নারীরা চাকরি করতে পারবেন? সমাজের রক্ষণশীল অনেক নারীর মনে জন্ম নেয়া এমন একটি প্রশ্নই দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে করেছেন জনৈক ব্যক্তি।
প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘নেক উদ্দেশ্যে পূর্ণ পর্দাসহ নারীরা চাকরি করতে পারবেন কিনা? যেমন, গরিবদের সাহায্য করার জন্য বা মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তা করার জন্য। মোটকথা যেকোনো ভালো কাজের উদ্দেশে্য পূর্ণ পর্দাসহ নারীদের চাকরি করার বিধান কী?’
ওই ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে বলা হয়, ‘চাকরির ক্ষেত্র বা চাকরিস্থল (যেখানে চাকরি করবে) যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের সংমিশ্রণ না থাকে ও ঘর থেকে অফিসে যাওয়া আসার মাঝখানে কোন ধরনের ফেতনা সৃষ্টির আশঙ্কা না হয়, তাহলে নারীরা শরীয়তের পূর্ণ পর্দাসহ বৈধ যে কোন চাকরি করতে পারবেন। এতে না জায়েজের কিছু নেই।’
আর মাস শেষে প্রাপ্ত সে চাকরির বেতন চাই নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করুক। অথবা অন্যকোন কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করুক। এতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন, গরিবদের সাহায্য বা মসজিদ নির্মাণ ইত্যাদি। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদ।
এমডব্লিউ/