মোস্তফা ওয়াদুদ: তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এ যুগে মোবাইল অতি প্রয়োজনীয় এক বস্তুর নাম। আর সেটাও এখন বাটন থেকে স্মার্ট ফোনে রুপান্তর হয়েছে। ‘বাটন সেটের দিন শেষ। এখন স্মার্ট ফোনের বাংলাদেশ।’ এমন শ্লোগানও দিতে দেখা যায় অনেককে। বর্তমানে মোবাইল নেই এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া মুশকিল। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার কাছেই মোবাইল রয়েছে। মোবাইল আমাদের জীবনযাত্রাকে যেভাবে সুন্দর করছে, একইভাবে মোবাইলের মাধ্যমে ঘটছে নানা অপরাধ। ব্যক্তিভেদে মোবাইল কারও জন্য হালাল পথের পাথেয়। আবার কারও জন্য মোবাইল ‘পাপ রাজ্যের অট্টালিকা।’
কেউ মোবাইলে আল্লাহর পবিত্র বাণী কুরআনুল কারীম পাঠ করেন। আবার কেউ ব্লু ফিল্ম বা অশ্লীল ভিডিও দেখেন। একই মোবাইলে এসব করে থাকেন অনেকে। এটা কী উচিত? কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করাতো সাওয়াবের কাজ। সেটা মোবাইলের স্কিনে হোক বা সরাসরি কাগজের মাসহাফে হোক।
কিন্তু অশ্লীল ভিডিও দেখা জঘন্য অপরাধ। সেটা সবাই জানি। কিন্তু জানার বিষয় হলো, একই মোবাইলের স্কিনে কখনো কুরআন তেলাওয়াত আবার কখনো খারাপ ভিডিও দেখা। এ বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি দেওবন্দের ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নে তিনি উল্লেখ করেন, মোবাইল অশ্লীল ভিডিও দেখার পর কোরআন পড়া বা শোনার বিষয়টি কেমন? মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখার পর কি মোবাইল নাপাক হয়ে যায়? যদি হয়ে যায় তাহলে পবিত্র করার নিয়ম কী?
উত্তরে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা চরম নির্লজ্জপণা ও অপরাধের কাজ। মোবাইলে কোনও অশ্লীল ভিডিও থাকলে তা মুছে ফেলা উচিত। ইউটিউব ইত্যাদিতে এ জাতীয় দৃশ্য এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
মোবাইলকে পবিত্র রাখার একমাত্র উপায় হলো, সব ধরনের অবৈধ জিনিস দেখা, শোনা, ও অবৈধ জিনিস রাখা থেকে বিরত থাকা। মোবাইলে কুরআন পড়া বা শোনা নাজায়েজ নয়। তবে অশ্লীল ভিডিও দেখা নাজায়েজ। সুতরাং যে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও রয়েছে সে মোবাইল থেকে অশ্লীল ভিডিও ডিলেট করে দিয়ে দেওয়া উচিত।
দারুল উলূম দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদ।
এমডব্লিউ/