সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ফোনে আড়িপাতা বন্ধে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাগরিকের ফোনালাপে আড়িপাতা বন্ধে আইন অনুযায়ী বিটিআরসি’র (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপে জানতে চাওয়া হয়েছে। ব্যত্যয় হলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান আইনজীবীদের পক্ষে নোটিশদাতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

নোটিশদাতা আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস,  অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার বনিক, অ্যাডভোকেট শাহ নাবিলা কাশফী, অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নওয়াব আলী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট জি এম মুজাহিদুর রহমান মুন্না, অ্যাডভোকেট ইমরুল কায়েস ও  অ্যাডভোকেট একরামুল কবির।

নোটিশে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা  উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে  চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে।

অর্থাৎ, সংবিধানের তৃতীয় ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার সমূহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।

নোটিশে আরও বলা হয়, ২০০১ সালের বিটিআরসি আইনের ৩০ (চ) ধারা অনুসারে টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অহরহ এ ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। অথচ দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের তিন বিচারকের একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এ বিষয়ে বিটিআরসি ও টেলিফোন সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর দায়িত্ব সর্বাধিক। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ তাদের দায়িত্ব। তারা আইনের বিধান ব্যতিরেকে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে পারে না।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ