শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আফগানিস্তানে ‘থাকছে’ তুর্কি সেনা, বিরোধিতায় রাশিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কয়েক দফা সময়সীমা পরিবর্তন করার পর অবশেষে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়ছে সব মার্কিন সেনা। তবে মার্কিন তথা ন্যাটো সেনারা চলে গেলেও দেশটির কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে তুরস্কের সেনারা। তবে এ বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।

এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলোভ বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে তুর্কি সেনা মোতায়েন তালেবানের সঙ্গে করা চুক্তির পরিপন্থী। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার নামে দেশটিতে তুর্কি সেনা মোতায়েন রাখা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়াকে আমেরিকার পরাজয় বলে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি বলেন, তবে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর তুর্কি সেনা রেখে দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।

পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগান তালেবানরাও দেশটিতে তুর্কি সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তালেবান বলছে, বিগত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। এখন তাদেরও আফগানিস্তান ছাড়ার সময় হয়েছে। সুতরাং তাদের এদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেলিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিতে পশ্চিমা কূটনীতিকদের যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সেজন্য কাবুল বিমানবন্দরে ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্কের সেনারা মোতায়েন থাকবে। কাবুলে মোতায়েন তুর্কি সেনাদের খরচ বহন করবে ন্যাটো।

কথিত সন্ত্রাস দমনের নামে আমেরিকা ও তার মিত্ররা ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়। দীর্ঘ ২০ বছরে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় লাখ লাখ মানুষ হতাহত ও উদ্বাস্তু হয়েছে। যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার নামে দেশটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে নিরাপত্তা তো প্রতিষ্ঠিত হয়-ইনি, বরং বেড়েছে অস্থিতিশীলতা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ