সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বাড়ি-গাড়ির জন্য লোন নেয়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনি কি বাড়ি বানাতে চান? কিংবা নতুন একটি গাড়ীর স্বপ্ন দেখেন? তাহলে লোন নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে? এমন মোহনীয় বিজ্ঞাপন আমরা দেখি প্রায় জায়গায়। শহরের নানা জায়গায় এসব বিজ্ঞাপনে সাইনবোর্ডের ছড়াছড়ি থাকে। অনেকেই এসব বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পড়েন। পা দেন সুদী লোনের মতো জঘন্য এ অপরাধের ফাঁদে।

তাছাড়া আমাদের জীবনেও কত স্বপ্ন থাকে! একটি গাড়ি হবে! একটি সুন্দর বাড়ী হবে! সুন্দর-সুখময় জীবন হবে! কারো ভাগ্যে হয়তোবা সেটা সম্ভব হয়। কিন্তু সবার জন্য সবকিছু হয়ে ওঠে না। মধ্যবিত্তের এমন অনেক মানুষ আছে, সারাজীবন একটি নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন দেখেই বিদায় নিতে হয়েছে পৃথিবী থেকে। কারো ব্যক্তিগত বাড়ি থাকলেও নিজস্ব গাড়ি নেই। গাড়ির স্বপ্নে বিভোর থাকেন সবসময়।

আর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ তো আছেনই, যাদের গাড়ি আছে। সুন্দর বাড়ী আছে। আছে বিশাল অট্টালিকা। সুরম্য দালান। তাদের সুখের অভাব নেই। খাওয়ার মানুষ নেই। তবে এমন চাঁদ কপাল খুব কম মানুষেরই হয়।

বিত্তদের এমন সুখের জীবন দেখে মধ্যবিত্তের অনেকেই মোহনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে নিতে চান ব্যাংক লোন। ক্রয় করতে চান একটি গাড়ি। অথবা বানাতে চান একটি বাড়ি। মধ্যবিত্তের এই লোন নিয়ে গাড়ি কেনা কিংবা বাড়ি বানানো যাবে কি? হাজারো মানুষের মনে জন্ম নেয়া এমন একটি প্রশ্নই দেওবন্দের ওয়েবসাইট করেন জনৈক ব্যক্তি।

দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে জবাবে বলা হয়, ‘সুদে ঋণ নেওয়া অকাট্য দলিল এর মাধ্যমে হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদ লেখক, ও সুদের উপর সাক্ষ্যদাতা; এই সবার উপরে অভিশাপ করেছেন। (মিশকাত শরীফ, ২৪৪)’।

এইজন্য বাড়ী-গাড়ী কিংবা ঋণ পরিশোধ করার জন্য যে লোন নেওয়া হয় সেটা না নেওয়া উচিত। এই লোন নিতে যেনো কেউ অগ্রসর না হয়।

হ্যা! কেউ যদি ঋণে জর্জরিত থাকে তাহলে সে যেনো লোন নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করে। বরং তার জন্য পরামর্শ হলো, তিনি বেশি বেশি এই দোয়া পাঠ করবেন। (اللہُمّ أکفني بحلالک عن حرامک وأغنني بفضلک عمن سواک) অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে হালালের উপরে যথেষ্ট রাখুন। এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারাই আমাকে ধনী করুন।’

এর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ করার জন্য যে সকল বৈধ সুরত রয়েছে, সে সকল বৈধ সুরত অবলম্বন করবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হয়তো একদিন তার মনের আশা পূরণ করে দিবেন। বৈধভাবে ঋণ পরিশোধ ব্যবস্থারও সৃষ্টি করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ