শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জাতিসংঘে মিয়ানমার ইস্যুতে ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিল বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পাস হওয়া প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১৯টি। বিপক্ষে একটি। আর ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, রাশিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান, লাওস, থাইল্যান্ডসহ ৩৬টি দেশ।

বিবিসি বাংলা বলছে, আইনগতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক না হলেও, রাজনৈতিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ অংশ না নেওয়ায় বিশেষ করে মিয়ানমারের বিপক্ষে ভোট না দেওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এদিকে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা ব্যাখ্যা করেছেন কেন বাংলাদেশে এই প্রস্তাবে পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেয়নি।

শনিবার বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো উল্লেখ না থাকায় বাংলাদেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদে এবং স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তেমনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো সুপারিশ বা পদক্ষেপ নেই।

প্রতিবেশী দেশ এবং মিয়ানমারের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এসব মৌলিক গুরুত্বের বিষয়গুলো এই প্রস্তাবে না আসায় বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থেকেছে।

বাংলাদেশে বলেছে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মিয়ানমারে সংবিধান পুনর্বহালের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বিষয়ে যেকোনো প্রস্তাব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদি সেটায় রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ উল্লেখ করা না হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের সংখ্যালঘু নিধনযজ্ঞের পরেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়টি উল্লেখ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারকে যেমন একপ্রকার দায়মুক্তি দিচ্ছে, তেমনি দেশটির অন্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

বাংলাদেশ আরও বলেছে, যদিও অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তা কোনো সমাধান নয়। এ জন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং সেটা অবশ্যই মিয়ানমারে হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত পাঠাতে যেসব শর্ত পূরণ হওয়া দরকার, তার কোনো অগ্রগতি নেই।

আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর একটি কোর গ্রুপ প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করেছে, যেখানে মিয়ানমারের সামরিক নেতারাও অংশ নিয়েছিলেন।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই সম্মেলনে যে পাঁচ দফা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেটাই এসেছে জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ