শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘সাগরের ঢেউ ও বৃষ্টির ফোটার মতোই শায়খুল ইসলামের অবদান শেষ করা যাবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সাগরের ঢেউ ও বৃষ্টির ফোটা যেভাবে গুণে শেষ করা যায় না। সেভাবেই শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর অবদান এ জাতীর উপর কতটা ছিলো তা গুণে শেষ করা যাবে না বলে বক্তব্য প্রদান করেছেন লালবাগ জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতী ফয়জুল্লাহ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহিমাহুল্লাহর জীবন, কর্ম, অবদান ও চলমান সংকট থেকে উত্তরণে উলামায়ে কেরামের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শায়খুল ইসলাম রহ. তার নামের মাঝেই পরিচিত। যদি শুধু বলা হয়- আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তাহলে এটাই তার জন্য যথেষ্ট। আমরা সবাই মিলেও যদি তার জীবন ও কর্ম তুলে ধরি তাহলে (তার জীবনও কর্ম তুলে ধরা) এটা সবার জন্য অসম্ভব। কারণ আকাশের মাঝে কত নক্ষত্র আছে? জগতের মাঝে কত সৃষ্টি আছে? সাগরের মাঝে কত ঢেউ আছে? বৃষ্টির কতটি ফোটা বর্ষিত হচ্ছে? এটা যেমন গণনা করা যায না। অনুরুপভাবে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. জীবন, কর্ম ও অবদান গুণে গুণে, লিখে এবং আত্মস্ত করেও শেষ করা যায় না। কারণ শায়খুল  ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এমন আদর্শ একজন মানুষ ছিলেন। যিনি আদর্শ পথ প্রদর্শন করতেন। যার পথ অনুসুরণ করে মানুষ আলোকিত হতো ও সৌন্দর্য লাভ করতো।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, তার অবদান কতটা ছিলো? যা আলোচনা হয়েছে, আর যা আলোচনা হচ্ছে, এর বাইরেও যে তার কত অবদান- এটি আসলে আমার মনে হয় আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া আদায় করলেও শেষ করতে পারবো না। কেননা আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. উলামায়ে কেরামের মর্যাদা, উলামায়ে কেরামের সম্মানকে শতাব্দির চেয়েও বেশি মর্যাদা দিয়ে গিয়েছেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর মেঝো ছেলে ও আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ এর আমীর মাওলানা আনাস মাদানী। তিনি সরকারের প্রতি জোর আহবান জানিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসা খুলে নিরীহ আলেমদের মুক্তি দিন। এতে দেশে শান্তি ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসা খুলে দিয়ে কুরআনের পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে দেশ থেকে আজাব-গজব দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’

এতে আরও আলোচনা পেশ করেন, বরিশাল হোসাইনিয়া মাদরাসার মুহতামিম ও আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর খলীফা মাওলানা আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. ছিলেন আন্তর্জাতিক রাহবার। তার খেদমাত সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে আছে। কিন্তু তার খেদমাতকে নষ্ট করার জন্য ও পুরো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য একটা গোষ্ঠী উঠেপড়ে লাগছে।’

বক্তব্য পেশ করেন, সাভারের মাওলানা হেলালুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘সময়ের মহানায়কের জীবনসভা, হাটহাজারী মাদরাসার উন্নয়নের রুপকার, শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. শুধু একটি নাম নয়। তিনি একটি মহা জাগরণ।’

অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ইউসুফ মাদানী। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আনাস মাদানী। বক্তব্য রাখেন মুফতি ফয়জুল্লাহ, পটুয়াখালীর মাওলানা আব্দুল হক কাউসারীসহ আরও অনেকেই।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মাওলানা রুহুল আমিন খান উজানী। উপস্থিত ছিলেন, ফরিদাবাদ মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুহাদ্দিস মুফতি নুরুল আমিন। হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদীদ, মাওলানা ইসমাতুল্লাহ কাসেমী ফরিদপুর, বেফাকের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মুফতি আবুু ইউসুফ, মাওলানা আমিনুল ইসলাম ময়মনসিংহ, মাওলানা আব্দুল কাদের বরিশাল, ড. মাওলানা কামরুল ইসলাম, সিলেটের মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, জমিয়তের মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা সালমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন মুফতি নাসিরুদ্দিন কাসেমী।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ