আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ দিয়েই রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুপুরে মামলার পরপরই বদলি করা হয়েছে মামলার বাদীকে।
দুদক সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, খুঁজে না পাওয়া একটি ল্যাপটপেই ৫৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার এনআইডি করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হন এ কর্মকর্তারা।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ‘হারিয়ে যাওয়া একটি ল্যাপটপ’সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নির্বাচন অফিসের সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুকের কাছে হস্তান্তর করেন রাসেল বড়ুয়া। তারা এসব নিয়ে যান মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে। এরপর ২০১৫ সালে সেগুলো ফেরত দেন মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপজেলায় সেটি ব্যবহার করার কথা বলা হলেও তার আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চট্টগ্রামে দায়ের করা দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আত্মসাৎকৃত ল্যাপটপসহ আরও কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করেই রোহিঙ্গাসহ মোট ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের এক পরিচালকসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকে (চট্টগ্রাম-১) উপ সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীন।
দুদক সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ভুয়া এনআইডি কার্ডের কার্যক্রম তারা চালিয়েছে। আমরা যাদের বলি তারা আমাদের দেশের নাগরিক না। তারা যদি এনআইডি কার্ড পেয়ে যায়, তাহলে এটা দিয়ে সে পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবে। দেশে-বিদেশে যেতে পারবে। এখানে রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট্য বিষয় জড়িত। সে বিদেশে গিয়ে একটা অপরাধ করলে দায়টা আসবে বাংলাদেশের উপর। এই প্রক্রিয়া যদি বন্ধ না করা হয়, তাহলে অনেকেই এমন অবৈধ সুযোগ পেয়ে যেতে পারে।
এদিকে মামলার কয়েক ঘণ্টা পরই চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয় মামলার বাদী শরীফ উদ্দীনকে। এ ব্যাপারে দুদক সচিব বলেন, যারা কোনো স্থানে আড়াই বছরের উপরে আছে, তাদের আসলে রিঅ্যারেঞ্জ (রদবদল) করা হয়। তা নাহলে এখানেও সমস্যা হতে পারে।
-এটি