শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরতে চান শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।খাদিজা ইসলাম।।

মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের সবকিছু অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মে চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে প্রথম থেকেই। প্রায় ১৭ মাস যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে আছে শিক্ষার্থীরা।পড়াশোনা থেকে ছিটকে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ডুবে আছে গেইম, নেশা আর হতাশার চাদরে। স্বপ্ন যেন অঙ্কুরেই বিনষ্ট। সচেতন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একটাই, সবকিছু যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন নয়! নানা প্রশ্ন তাদের মনে। এসবের উত্তর মিলবে বা মিলবে না।

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার বর্ষা বলেন,
আমি ভার্সিটি খুলে দেওয়ার পক্ষে। কারন যেই করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, করোনা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বোধহয় সীমাবদ্ধ! আজকে গণপরিবহন থেকে শুরু করে শপিং মল অবধি সব খোলা। তাহলে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কেন এতো অবহেলা। আজ যেই শিক্ষার্থীদের হাতে কলম থাকার কথা তারা ফ্যামিলি টানতে মাঠে নেমে গেলো। আমার দেখা এমন অনেক বন্ধু আছে । একজন আম বিক্রি করে রাস্তায় ভ্যানে। কিন্তু এই কি পরিনতি হওয়ার কথা? আমরা যারা মেয়ে শিক্ষার্থী আছি আমাদের হতাশা দিন দিন বেড়েই চলছে।

মীর মোহাম্মদ সোহেল, শিক্ষার্থী( ঢাকা কলেজ)। তিনি বলেন-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন খুলে দেয় না তা আমার মাথায় আসে না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা অচিরেই মেরুদন্ডহীন জাতিতে পরিণত হব। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় জীবন নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছি আমরা। আমাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে এ জাতি রেহাই পাবে।ন য়তো অঙ্কুরেই বীজ নষ্টের মতো অবস্থা হবে।

ইডেন শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন- ক্যাম্পাস বন্ধ নিয়ে বড় বিপাকে আছি। পড়াশোনা শেষের দিকে, শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। না জব করতে পারছি, না পড়াশোনা করতে পারছি। শুধু আমি নয় আমার পরিবার হতাশায় আছে কবে পড়াশোনা শেষ হবে, কবে ক্যারিয়ার হবে।উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিছে।আমাদের দেশে ও করোনা নিয়ন্ত্রণে সব চলছে তবুও ক্যাম্পাসে ফিরতে পারছিনা। হতাশা গ্লানি আর নিতে পারছিনা। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।

মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাইয়িদ আবরার বলেন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফ থাকায় আমাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা কি আদৌ পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব? আমাদের বন্ধি বান্ধবরা বিভিন্না নেশায় জড়িয়ে পড়ছে, জীবন নিয়ে আজ তারা হতাশ। সব সমস্যার একটাই সমাধান প্রতিষ্ঠান খুলে দিক। আমরা আগের জীবনে ফিরে যেতে চাই।

শিক্ষার্থী মামুনুর অতিসত্বর ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে ফিরতে দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী কাজী পরশ বলেন- যেশিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, সে মেরুদণ্ড কে নানা অজুহাতে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। একটাই দাবি সুশিক্ষার দ্বার উন্মোচন করুন, আমরা মানুষ হতে চাই, দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে চাই।

লেখক, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যম কর্মী।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ