শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু

‘প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণের জন্য নয়, আমলাদের জন্য’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নয়, এই বাজেট আমলাদের জন্য। তাদেরকেই ‘খাতির’ করা হয়েছে বাজেটে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মেজর হায়দার আলী মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অর্থনীতিবিদ ডা. রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, গণস্বাস্থের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাজেট হওয়া উচিত নাগরিকদের জন্য। আমি বাজেটটি দেখার চেষ্টা করেছি অর্থমন্ত্রীর শ্রেণি চরিত্রের আলোকে। বাজেটের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার পেশা ও শ্রেণির প্রভাব পড়েছে। বাজেটে দুর্নীতিকে বহাল রাখার ফাঁক রয়ে গেছে। অথচ এটার উল্টোটা হওয়া উচিত ছিল। তাদের সংসদে আসার আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। জনগণের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটের ব্যাপারে আমলাদের খাতির করা হয়েছে। কারণ হলো- উনার পেশা। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে উনি একটি শ্রেণিকে অনেক সুবিধা দিয়েছেন। আমলাদের বেতন অনেক বাড়ানো হয়েছে। গাড়ি কেনার জন্য ত্রিশ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয় তা মেইনটেন্যান্স করার জন্য। উপকার পেয়েছে উচ্চ শ্রেণি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ। কিন্তু মনোবৃত্তিটা পরিবর্তন হয়নি।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যার আয় বছরে ৫ লাখ টাকা সেই ট্যাক্সের আওতায় আসা উচিত৷ আমার প্রস্তাব পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ফ্রি করে দেন। তার পর থেকে ক্রমবর্ধমান হারে ট্যাক্স নিতে থাকেন। তাহলে বেশি সংখ্যক মানুষকে ট্যক্সের আওতায় আনা যাবে। মনে রাখা দরকার সকারের মূল আয় আসে ভ্যাট থেকে। ওষুধের কাচামালের ওপর কর কমিয়েছেন। কিন্তু সেটা ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ