শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিয়মিত আমলকীর জুস পানের উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমলকি ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল। এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হয়।

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

আমলকী খাওয়ার সহজ ও উত্তম উপায় হচ্ছে জুস বা রস করে খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হিসেবে এই পানীয় বেশ কার্যকরী।

প্রস্তুত প্রণালি: এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ আমলকীর পাউডার ঢেলে মিশ্রণ তৈরি করুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে মিশ্রণটি পান করুন।

বাড়িতেই পাউডার তৈরি করতে পারেন। কয়েকটি আমলকী কেটে ছোট ছোট টুকরো করুন। দু-এক দিন রোদে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করুন।

পুষ্টি গুণ: প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে আঁশ ও কার্বোহাইড্রেটসহ ৬০ ক্যালরি থাকে। ভিটামিন ‘সি’ ছাড়াও থাকে ভিটামিন ‘এ’, পাইরিডক্সিন, রিবোফ্লোবিন এবং খনিজ উপাদান যেমন; সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, কপার, জিংক, ফসফরাস, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন।

উপকারিতা
গলাব্যথা ও ঠান্ডা: আমলকীতে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমলকীর পানির সঙ্গে এক টুকরো আদা ও এক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা ও ঠান্ডা থেকে মুক্ত পাওয়া যায়।

ওজন কমানো: এ ফলে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহে চর্বি জমতে দেয় না। খাওয়ার আগে নিয়মিত আমলকীর পানি খেয়ে এই উপকার পেতে পারেন।

রক্ত পরিষ্কার: আমলকীর জুস রক্ত পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে। ত্বককে করে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: আমলকীতে থাকা ক্রোমিয়াম রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হজম: আঁশ সমৃদ্ধ আমলকী পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। এটি প্রাকৃতিক রেচক ওষুধ হিসেবে কাজ করে যা দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।

ত্বকের উপকারিতা: ব্রণ, খোসপাঁচড়া প্রতিরোধ করে ও কমায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। আমলকী খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।

প্রতিদিন একটা আমলকী খান অথবা ১০-২০ মিলি আমলকীর জুস পান করতে পারেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ৪ গ্রাম আমলকীর পাউডার খাওয়া দেহের জন্য ভালো। এর বেশি হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ