মোস্তফা ওয়াদুদ: আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন। ফলাফলও পেয়েছেন। কিন্তু লিখিত কাগজ এখনো আসেনি আপনার কাছে। সার্টিফিকেট নামক সোনার হরিণ হাতে পাননি। এজন্য কোথাও কোনো চাকুরি কিংবা উপরের ক্লাসে ভর্তির ইন্টারভিউতে অংশ নিতে পারছেন না। তাদের জন্য থাকছে কিভাবে উত্তোলন করবেন বেফাকের সার্টিফিকেট? সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ম।
সার্টিফিকেট উত্তোলন করার নিয়ম জানা থাকা জরুরি। কেননা প্রত্যেক ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানূন ফলো করতে হয়। বেফাকে পরীক্ষা দেওয়া সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনকারীগণ উক্ত নিয়ম-কানূনে অবগত না থাকার কারণে নিজেরাও অনেক সমস্যার সম্মুখিন হন এবং অফিস কর্তৃপক্ষেরও সমস্যায় পড়তে হয়।
তাই উক্ত সমস্যা সমাধানের নিরীখে বেফাকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে বেফাক থেকে সার্টিফিকেট উত্তোলন করার নিয়ম। সেখানে ফলাফলের মূল সনদ, সাময়িক সনদ, ডুপ্লিকেট সনদ, নম্বরপত্র ও সনদ সংশোধনীর আবেদনের ব্যাপারে কিছু নিয়ম-কানুন স্ববিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। সবার সুবিধার জন্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
১. মূল সনদঃ সাধারণ নিয়মে বোর্ডে সনদ তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর উক্ত সনদ মাদরাসায় পৌঁছে দেয়া হয়। যেন পরীক্ষার্থীগণ মাদরাসা থেকে সহজে সনদ সংগ্রহ করতে পারেন। যদি মাদরাসায় পাঠানো না হয় এবং পরীক্ষার্থীদের সনদের প্রয়োজন হয় তাহলে যা করতে হবে।
প্রথমে নিচে উল্লেখিত ‘সনদ পাঠানোর তালিকা’ নামক অপশন (টেবিল) থেকে পরীক্ষার্থী যে সনের যে মারহালায় পরীক্ষা দিয়েছে সেখানে যদি টিক চিহ্ন দেয়া থাকে তাহলে বুঝতে হবে সনদ বোর্ড থেকে মাদরাসায় পাঠানো হয়েছে। আর যদি ক্রস চিহ্ন দেয়া থাকে তাহলে বুঝতে হবে সনদ পাঠানো হয়নি। তখন অফিসের এই (০১৭৮৭-৫০৫৩৬৭ # ০১৭১৬-২৯৯৪৪৪) মোবাইল নাম্বারে পরীক্ষার সন ও মারহালা উল্লেখপূর্বক যোগাযোগের মাধ্যমে জেনে নিবেন যে মূল সনদ তৈরীর কাজ সর্ম্পূণ হয়েছে কি না। যদি তৈরী হয়ে আছে এ কথা অফিস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে পরীক্ষার্থীর মূল সনদই উঠাতে পারবেন।
তারপর মূল সনদ উঠানোর জন্য এই লিংক থেকে সনদ আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে পরীক্ষার্থীর সার্বিক ও সঠিক তথ্য উল্লেখ করবেন। মূল সনদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের দস্তখত ও সীলসহ ফরম পূরণ করতে হবে। আলাদা দরখাস্তের কোন প্রয়োজন নেই। (ছ) মূল সনদে ফি দিতে হবে না।
আর যদি মূল সনদ তৈরী হয় নাই এ কথা অফিস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে পারেন তাহলে পরীক্ষার্থীর বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িক সনদ উত্তোলন করতে পারবেন।
২. সাময়িক সনদঃ সাময়িক সনদ উত্তোলন করতে হলে যা করতে হবে।
এই লিংক থেকে সনদ আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে পরীক্ষার্থীর সার্বিক ও সঠিক তথ্য উল্লেখ করবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের দস্তখত ও সীল থাকলে ভাল হয়, তবে না হলে কোন সমস্যা নেই। আলাদা দরখাস্তের কোন প্রয়োজন নেই। সাথে প্রবেশ পত্র (বিতাকাতুত দুখূল) হলেই চলবে। সে ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
৩. ডুপ্লিকেট সনদঃ মূল সনদ হারিয়ে গেলে অথবা নষ্ট হয়ে গেলে ‘ডুপ্লিকেট’ সনদ উত্তোলনের ব্যবস্থা আছে, সে ক্ষেত্রে যা করতে হবে।
এই লিংক থেকে সনদ আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে পরীক্ষার্থীর সার্বিক ও সঠিক তথ্য উল্লেখ করবে। পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের দস্তখত ও সীল থাকতে হবে। পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের সত্যায়নসহ কারণ উল্লেখপূর্বক আলাদা দরখাস্ত অবশ্যই সাথে নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
৪. নম্বরপত্রঃ পরীক্ষার্থীর প্রয়োজনে যে সনে যে মারহালায় পরীক্ষা দিয়েছে সে মারহালার প্রত্যেক বিষয়ের প্রাপ্ত নাম্বার উল্লেখপূর্বক স্ববিস্তারিত নম্বরপত্র উত্তোলন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে যা করতে হবে।
এই লিংক থেকে সনদ আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে পরীক্ষার্থীর সার্বিক ও সঠিক তথ্য উল্লেখ করবেন। পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের দস্তখত ও সীল থাকলে ভাল হয়। আলাদা দরখাস্তের কোন প্রয়োজন নেই তবে প্রবেশপত্র প্রদর্শন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
৫. সনদ সংশোধনীঃ সনদে পরীক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ বা কোন অংশে পরিবর্তন করতে হলে যা করতে হবে।
এই লিংক থেকে সনদ আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে পরীক্ষার্থীর সার্বিক ও সঠিক তথ্য উল্লেখ করবেন। পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের দস্তখত ও সীল থাকতে হবে। পরীক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার মুহতামিম/নাযিমে তা’লীমাতের সত্যায়নসহ কারণ উল্লেখপূর্বক আলাদা দরখাস্ত অবশ্যই সাথে নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। বি.দ্র. সংশোধনের ক্ষেত্রে আংশিক সংশোধন করা যাবে। পরীক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম সম্পূর্ণ পরিবর্তন করা যাবে না।
এমডব্লিউ/