শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আজ বিশ্ব বই-পুস্তক দিবস; বই নির্বাচনে আমাদের করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আশরাফ আলম কাসেমি নদভি

প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল পৃথিবীর ১০০ টির ওপরে দেশে বিশ্ব বই-পুস্তক ও অনুলিপি দিবশ পালন করা হয়ে থাকে । এদিনে বই-পুস্তক কেনা-বেচা ও লেখকদের মূল্যায়ন করা হয় এবং প্রতি বছর কোনো একটি দেশকে কিতাবের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এপর্যন্ত কায়রো, বৈরুত, নয়া দিল্লিসহ বহু দেশের রাজধানী এই স্বীকৃতি পেয়েছে।

১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক এই দিনটিকে বিশ্ব বই-পুস্তক ও অনুলিপি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় ১৬১৬ সালে স্পেনের কেনোলিবা শহরে এই দিনটিতে গোলাব দিয়ে একে অপরকে বরণ করে নিতো । পাঠ করা হতো বহু নাটক উপন্যাস ও ড্রামা সিরিজের বই-পুস্তক । ধীরে ধীরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে যায় পুরো ইউরোপে । ইউরোপ থেকেও লোক এসে এখানে বই-পুস্তক পাঠ ও কেনা-বেচায় শরিক হতে থাকে ।

একপর্যায়ে গোলাব নিবেদন ভুলে গিয়ে বই-পুস্তক পাঠ ও লেখকদের মূল্যায়ন এবং বই কেনা-বেচা পৌঁছে যায় চূড়ান্ত সীমায়। সেই সূত্র ধরে জাতিসংঘের ইউনেস্কো এই সংস্কৃতিকে একটি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সারা পৃথিবীতে পালন করে থাকে বিশ্ব বই-পুস্তক ও অনুলিপি দিবস।

আজকের এই দিনে বই প্রেমি সকল ভাই বোন ও বন্ধুকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বই পড়ার ক্ষেত্রে তার নির্বাচন হলো মুখ্য বিষয়। আমরা বই-পুস্তক পাঠ করবো নিজেদের উন্নতির জন্য, ভবিষ্যত আলোকিত করার উদ্দেশ্যে । অবশ্যই বিজ্ঞজনদের সাজেশন অনুযায়ী বই পড়বো । এমন যেন না হয় দুষ্ট বই আমার চরিত্র হরণ করে ফেলে । জীবন আলোকিত করতে ও উভয় জগতে সফল হতে ইসলামী বই-পুস্তকের বিকল্প নেই । তবে অবশ্যই তা ভালো লেখক ও প্রকাশক দেখে সংগ্রহ করতে হবে । স্রোতে ভেসে বই পাঠ সাময়িক আনন্দ অবশ্যই দিবে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি মোটিভেশন থেকে বঞ্ছিত রাখবে ।

বরকতময় এই রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা, নবী জীবনি পাঠ করা যায়। রমজান পরবর্তী সময়ে সাইয়েদ আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী রহ. এর ইসলামের পরিচয়সহ বাংলায় অনুদিত ও মৌলিক সকল বই, জীবনকে উপভোগ করুন, হতাশ হবেন না, হযরত থানবী রহ. এর তারবিয়াতুস সালিক ও বেহেশজী জেওরসহ সকল বই , মাওলানা মানজুর নোমানী রহ. এর বরকতময় রমজান, সাইয়েদ সুলাইমান নদভী’র সীরাতে আয়েশা, সীরাতুন নবী সা.সহ সকল বই।

সমসাময়িক আরব লেখকদের মাঝে ড. আবদুর রহমান রাফাত বাশা’র সাহাবীদের ইমানদীপ্ত জীবন ও তাবেয়ীদের ইমানদীপ্ত জীবন, সাইয়েদ কুতুব এর ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম, মুহাম্মদ আল গাজালি, আলি তানতাবি, মোস্তফা লুতফি মানফুলুতিসহ প্রভৃতি লেখকদের বই পড়া ও সংগ্রহ করতে পারি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ