শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মকতব বাঁচলে বাঁচবে দ্বীন, মক্তবগুলোর যত্ন নিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুনতাসির বিল্লাহ।।

মুয়াজ্জিনের আজানের সুরে বিদঘুটে আঁধার কেটে পৃথিবীতে নেমে আসে সুবেহে সাদিক। নামাজ হয়, মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার পথ ধরে পৃথিবীতে চলে আসে স্নিগ্ধ সকাল।
মায়ের ডাক, ও খোকা, খোকা ওঠো।
বাবার ডাক, ফাহিম, আব্বু ওঠো।
বোনের আদুরে ডাক, ভাইয়া ওঠো। নামাজ পড়ে সবাই মসজিদ থেকে চলে এসেছে। হুজুর মক্তবে যেতে বলেছে।

রক্তিম সূর্যটা পৃথিবীকে লাল টিপ পরিয়ে উদিত হচ্ছে। ছোট্ট খোকামণি আড়মোড়া খেয়ে উঠছে ঘুম থেকে। মুখ ধুয়ে অজু করে রেহাল আর আমপারা বুকে নিয়ে যাবে মক্তবে ইলমে ওহি শিক্ষা করতে। মেঠোপথের আল, ধুলো ওড়া পথ মাড়িয়ে বুকে আমপারা আর কুরান নিয়ে এমন আরও অনেক সোনামণিরা আসবে মক্তবে। এই স্নিগ্ধ সকালে তারা বুকে ধারণ করবে আল-কুরানের স্নিগ্ধ শিক্ষা। রোপণ হবে দ্বীনের বীজ।

হাহ! কই সে সময়। সে শিক্ষা। আর মক্তবে যাওয়ার দৃশ্য! গ্রামবাংলায় এক সময় প্রতিটি মসজিদে মসজিদে ছিল মক্তবব্যবস্থা। প্রতিটা শিশু বেঁড়ে ওঠতো কুরানি ছায়ায়। সবশিক্ষার আগে তাদের তীক্ষ্ণ ব্রেণে গেঁথে যেত কুরানের শিক্ষা। আর এখন তাদের প্রথমে শিক্ষা দেওয়া হয়....
ঘুম থেকে উঠে মক্তবে না, ঢলতে ঢলতে যায় নার্সারি আর কেজি স্কুলে।

গ্রামের যে ছেলেটা এক সময় ঘুম থেকে উঠে নিজে অজু করে মক্তবে যেত, আজ তাকে মা জোর করে ঘুম থেকে উঠিয়ে গোছগাছ করে নিয়ে যায় নার্সারিতে। শিশিরভেজা মেঠোপথ আর ধুলো ওড়া পথ মাড়িয়ে এখন কেউ মক্তবে যায় না, পড়তে শেখার আগেই গিয়ে বসে থাকে পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার স্কুলে। তাদের বুকে ইসলাম শিক্ষাটা আর প্রবেশ করে না। প্রবেশ করে পশ্চিমা বিশ্বের এঁকে দেওয়া মানচিত্র। তাদের কোমল হৃদয়ে দ্বীনের বীজ আর রোপণ হয় না...

আমাদের উচিত আবার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে মকতব প্রতিষ্ঠা করা। গুরুত্ব দেওয়া একেকটা প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার মতো। শহরের প্রতিটা বিল্ডিংয়ে মাদরাসা আর উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা না করে, গ্রামের মসজিদ গুলোতে মকতবকে চালু করা। না-হয় দেখা যাবে অচিরেই কমে যাবে মাদরাসাগুলোর ছাত্র সংখ্যা আর উচ্চতর ইসলামি আইন শিক্ষার ছাত্র...

একটা চারাগাছের গোড়ায় পরিচর্যা না করে, আমরা বড়গাছের মাথায় পানি ঢেলে পরিচর্যা করি! আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি? এই পরিচর্যা আমাদের কতটুকু কাজে দেবে, যদি গোড়ায় ঠিক না থাকে!

আসুন, আমরা ছোট কোমলমতি শিশুদের প্রথম শিক্ষাটা দিই কুরআনের শিক্ষা। রোপণ করে দিই ইসলামের সুশিক্ষার বীজ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ