শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

মাদরাসায় শিশু নির্যাতন, শিক্ষা বোর্ডগুলোর কি কিছুই করার নেই?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নির্যাতনের খবর দিন দিন বেড়েই চলছে। হরহামেশাই শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার কারণে সাধারণ মানুষের মনে কওমি মাদরাসা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় চাহিদা মেটাতে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে কওমি মাদরাসার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। যা নিয়ন্ত্রণ করে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশসহ আরো ৭ টি শিক্ষা বোর্ড।

কওমি মাদরাসাভিত্তিক এই শিক্ষা বোর্ডগুলো শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও নানা সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদরাসাগুলোকে সতর্ক করেছে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু শিশু নির্যাতন নিয়ে এখন পর্যন্ত নীরব ভূমিকায় শিক্ষা বোর্ডগুলো।

মাদরাসাগুলোতে শিশু নির্যাতন বন্ধে শিক্ষা বোর্ডগুলোর কি কিছুই করার নেই? এমন প্রশ্ন ছিল শিক্ষা বোর্ডের বেশ কয়েকজন কর্তা ব্যক্তির কাছে।

সর্বোচ্চসংখ্যক মাদ্রাসার নেতৃত্বদানকারী শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিশুরা শিক্ষকদের কাছে সন্তানের মত। তাদেরকে শাসন করার ভিন্ন পদ্ধতি আছে। কোমলমতি শিশুদের শাসন সেভাবে করা যায় না, যেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে শাসন করা যায়।

আমাদের বোর্ডে যখন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স হয়, তখন আমরা শিক্ষকদেরকে এ বিষয়ে তারবিয়ত দিয়ে থাকি। কিভাবে শিশুদের সন্তানের চোখে দেখে শিক্ষা দিতে হয় সেটা আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বেফাকের মিটিংয়ে এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বলে আসছি। যেহেতু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ইতিমধ্যে সংঘটিত হয়েছে, তাই আমরা আমাদের তৎপরতা আরো বাড়াবো। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জোর দিবো।

এদিকে বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী বলেছেন, যদিও আমি আল হাইয়ার একজন সদস্য, তবুও কোন প্রকার আলোচনা বা মিটিং ছাড়া আমি আল হাইয়ার পক্ষ থেকে কোন কথা বলতে পারবোনা।

তবে আমাদের বোর্ড এবিষয়ে খুবই কঠোর অবস্থানে আছে। আমাদের বোর্ডে নিবন্ধিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করব।

ইসলাম কোনভাবেই শিশু নির্যাতন সমর্থন করে না। সুতরাং এই ধরনের অমানবিক নির্যাতন কখনোই প্রশ্রয় দেয়া যায় না। যেকোনো মূল্যে এ ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা বন্ধ করা দরকার। শিক্ষকদের আরো আন্তরিক হওয়া উচিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ