শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


শিক্ষকের শাস্তি চান না প্রহৃত শিশুটির বাবা-মা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে প্রহারের ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষকের শাস্তি চান না শিশুটির মা-বাবা। ওই শিক্ষককে আটকের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা না নিতে লিখিত অনুরোধ করেন।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমিতে এই ঘটনায় ঘটে। ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. ইয়াসিন ফরহাদকে পিটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া তার ছাত্র ইয়াসিন ফরহাদকে মাদরাসার বাইরে থেকে ধরে একটি কক্ষে নিয়ে পেটাচ্ছেন।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামের মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে আটক করে পুলিশ।

তবে ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিযুক্ত ওই মাদরাসা শিক্ষককে ক্ষমা করে দিয়েছেন মর্মে একটি লিখিত বক্তব্য দেওয়ায় প্রশাসন এ ঘটনায় দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।

No description available.

এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া তার এক ছাত্রকে কথা না মানার জন্য পিটিয়েছেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি থানা পুলিশসহ ওই মাদরাসায় গিয়ে হাফেজ ইয়াহিয়াকে আটক করি।’

শিশুটির মা-বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নিতে রাজি হননি জানিয়ে ইউএনও বলেন, 'অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে আটক করার পরপরই শিশুটির মা-বাবা আমার অফিসে এসে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তারা ওই শিক্ষককে ক্ষমা করে দিয়েছেন জানিয়ে মামলা করবেন না বলে জানান। আমি তাদের অনেক বোঝানোর পরও তারা মামলা করতে রাজি হননি। উল্টো তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে আমাকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছেন। পরে আমরা ওই শিক্ষককে ছেড়ে দিয়েছি।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ