মোস্তফা ওয়াদুদ: মো. মাসুদ হাসান রাঈদ। ৮ বছর ১০ মাস বয়সী ছোট্ট এক শিশু। এই অল্প বয়সেই পবিত্র কুরআনুল কারীমের হেফজ সমাপ্ত করেছে। আর সময় লেগেছে মাত্র ৬ মাস। এতো অল্প সময়ে কুরআন মুখস্থ করে চমক লাগিয়ে দিয়েছে শিশু মাসরুর।
মাসরুরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দত্তেরবাজার বিরুই গ্রামে। ওর বাবার নাম মো. রফিকুল হাসান কবির। মায়ের নাম তানিয়া রোকসানা।
সাধারণ পরিবারে জন্ম নেয়া মাসরুর হাসান রাঈদ পড়াশোনা করেছে রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউন এলাকার মাদরাসাতুন নূর আল ইসলামিয়াতে। প্রতিদিন ফজরের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনাবাসিক ব্যবস্থাপনায় এ মাদরাসায় পড়াশোনা করতো মাসরুর হাসান। মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ বিন ইয়ামিন এর কাছে মাত্র ছয় মাসেই শেষ করে পবিত্র কুরআনুল কারীম। তার এই সফলতায় খুশি মাসরুরের বাবা-মা ও মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকগণ।
মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা ইসহাক কামাল জানান, ‘আমাদের মাদরাসাটি বারিধারা মাদরাসার সাবেক মুহতামিম হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। এখানের ছাত্ররা খুব ভালোভাবে পড়াশোনা করে। তবে চমক লাগানো এই মাসরুর হাসান রাঈদ সবার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। আমরা ওর এই সাফল্যে অনেক খুশি।’
মাসরুরের হেফজের শিক্ষক হাফেজ বিন ইয়ামিন জানান, ‘মাসরুর যেমন মেধাবী তেমন ভদ্রও। ও প্রতিদিন চার-পাঁচ পৃষ্ঠা করে সবক শুনাতো। শেষের দিকে প্রদিতিন আট-দশ পৃষ্ঠা করে সবক শুনিয়েছে। মাসরুর গত বছরের (২০২০) আগস্ট মাসের ১৬ তারিখে হেফজ শুরু করে। এরপর চলতি বছরের (২০২১) গত ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ কোরআনুল কারিমের শেষ সবক শুনায়।
মাসরুর হাসান রাঈদ অনেক বড় হোক। ওর মেধা দিয়ে কুরআনুল কারীমকে যেভাবে মুখাস্থ করেছে। সেভাবে ও অনেক বড় আলেম হোক। আমরাই এ প্রত্যাশাই করি।’
এমডব্লিউ/