শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি নিজের হাতে আইন তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে'

ফাগুন যেন প্রকৃতি ও মানব প্রেমের ঘটক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

খাদিজা ইসলাম।।

সাঝঁসকালে পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙ্গে।কুকিলের কুহুতান যেন মনকে করে দেয় আরো উতলা।দখিনা বাতাস জানান দেয় আমারই রাজ্য এটা। শিমুলের ফুল,আমের মুকুল, কাঁ ঠালের মুচি সব কিছুই যেন ফাগুনের কর্তৃত্ব।

চারদিকে গাছের পাতা ঝরে নতুন পাতা গজিয়েছে। সকালের সে নির্মল বাতাস যেন গ্রামীণ পরিবেশে সারাদিন ই লেগে থাকে। সারাদিন হৈ হৈ রব পড়ে যায়, শিশুরা দলবেঁধে ছুটে ছোট সে ছেলুকলের কাছে। দেখা মেলে পাতা কুঁড়ানিদের। বাঁশ ঝাড়, আর গাছপালার পাতা সংগ্রহে পড়ন্ত দুপুরে। এ যেন ফাগুনের টালমাটাল দিনেরই জীবন্ত উদাহরণ।

কখনো চোখে পরবে জংলী ফুল সংগ্রহে বালক বালিকারা দলবেঁধে ছুটছে। কার আগে কে কত বেশি ফুল সংগ্রহ করবে।দেখা যাবে সবাই মিলে বরই ভর্তা বানানোর জন্য সংগ্রহ করবে, বরই,কাঠালের মুচি, টমেটো, ধইনচা, কাচা মরিচ। একসাথে সব তুলবে ভারাতে।তার পর ভর্তা বানিয়ে তা বাড়িতে বাড়িতে বিতরণ করবে।

আড্ডা দেখা যাবে শিমুল তলায়। শিমুলের ফুল দিয়ে তৈরি করবে নকল কেরোসিন তেল। কেরোসিন তেলের কারিগররা আবার কলা গাছের খোল দিয়ে ইটের ভাঁটা ও তৈরি করে। কতশত শুভ বুদ্ধি উদয় করে দেয় এ ফাগুন। সারাদিন যেন ফূর্তি একটা ভাব এনে দেয় ফাগুন। বিকাল হওয়ার সাথে পাখিদের দেখা যায় নীল আকাশে। খাবারের সন্ধানে ছুটতে দেখা যায় বড়ই গাছে। নিজের জন্য বাচ্চার জন্য খাবার সংগ্রহ করছে। কখনো বা দেখা যায় ধানের খেতের পোকা ধরতে।

প্রকৃতির এ ফাগুনের ছাপ দেখা যায় মানব মনে ও। চোখে পড়ে তারুণ্যের, উদ্দীপনায় তৈরি করা দোলনা। বাতাসের সাথে ধুলতে থাকে রশি দিয়ে তৈরি করা দোলনা। পেছন থেকে সঙ্গীরা জোরে ধাক্কা দেয়!কখনো রশি ছিড়েঁ পড়তে দেখা যায় তরুণী কে। এ যেন দুখের মধ্যে ও হাসি। ফাগুনের আরেক সৌন্দর্য। প্রকৃতি আর মানবমনের চলে লুকোচুরি প্রেম। কখনো বা মাঠ থেকে কানে আসে বাঁশির সুর। বাশেরঁ বাঁশি মনের কিছুতেই যেন নিস্তার দেয় না।

গোধূলির শেষ লগ্নে পাখিরা নীড়ে ফিরে ঝাঁকে ঝাঁকে।ঘাসের উপর হালকা শিশিরের ফোটাঁ। শেষ বিকেলের সূর্য টা যেন আগুনের ঝলক।প্রকৃতির বায়ু তে মন যেন মনের বাঁধন ছেড়ে দূরে কোথাও হারাতে চাই। মন,প্রকৃতি দুটোই জানান দেয় এ যেন ফাগুনের রাজত্ব। সেই রাজ্যে প্রেম চলবে মানব- প্রকৃতির।

লেখক: শিক্ষার্থী, সম্মান ২য় বর্ষ,বাংলা, সরকারি তিতুমীর কলেজ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ