ইফতেখার হোসাইন রাকিব।।
একটি বিশ্বাসী মনে থাকে শীতলতা, থাকে আশা-ভরসা ও লড়াইয়ের শক্তি। এক জগত নয় বরং দু'জগতে বাদশা হওয়ার সক্ষমতা থাকে একজন দৃঢ় বিশ্বাসীর। কিন্তু অজ্ঞতা ও অজ্ঞানতা কখনো বিশ্বাসীকে বিচ্যুত করে। অলিক যুক্তি ও ধারণাকে তাঁর কাছে হাজির করে সত্য হিসেবে।
লেখা ও কথা দিয়ে বিশ্বাসী মনে গেঁথে দিতে চায় অবিশ্বাসের নষ্টবীজ। অবিশ্বাসীদের এই তৎপরতা চলে আসছে আবহমানকাল থেকে যুগে যুগে, নানা রূপে নানা ভঙ্গিতে। এই বাংলা অঞ্চলেও এর বিপরীত ঘটেনি। এখানেও অবিশ্বাসের বিষ হাতে উপস্থিত হয়েছিল অনেকেই। তাঁদের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি আরজ আলী মাতুব্বর। (জন্মমৃত্যু সাল সংযোজন করুন)
অবিশ্বাসী এলাকায় আরজ আলী মাতুব্বর অতিপরিচিত এক নাম। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, আহমদ শরীফ, অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সহ আরও অসংখ্য জন। কধর্মহীন জ্ঞানের ডোবায় ডুব দিয়ে মাতুব্বর সাহেব তুলে এনেছেছেন তার অবিশ্বাসের দর্শন। যেখানে তিনি এমন প্রশ্ন ও সংশয়ের পসরা ধর্মিষ্ঠদের সম্মুখে রেখেছেন, যার পূর্ণাঙ্গ জবাব কিংবা সত্যাসত্য যাচাইকরণ তার সময় ও তিরোধানের পর আজও আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করা হই নাই।
ফলত মাতুব্বর সাহেব এক বিশেষ জায়গা দখল করে নেওয়া মওকা পেয়ে যায়। এবং তার অনন্যতার প্রেক্ষণবিন্দু এটিই। অন্য কাউকে অমন পদ্ধতিতে ধর্মহীনতার মহড়া দিতে আমরা দেখি না। তার এই পদ্ধতি যেমন সুপরিকল্পিত, তেমনি এর অশুভতা সুদূরপ্রসারী। ফলে এর ক্ষতি ও নেতিপ্রভাব তুলনামূলক অন্যদের চেয়ে ভয়ঙ্কর।
এপর্যায়ে সেই ভয়ংকর অসুভতার বাক্স ভেঙ্গে দিয়ে শক্তিমান জবাবি কর্ম নিয়ে হাজির হচ্ছে তরুণ মেধাবী লেখক সাজ্জাদ চৌধুরী। সাজ্জাদ নিরপেক্ষ অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে এনেছে সত্য। হাজির করেছে মুক্তির সঠিক পাথেয়। তার লেখায় রয়েছে বস্তুনিষ্ঠতা ও যুক্তির শক্তি।
২০১৭ সাল থেকে তাঁর শিক্ষকের আদেশে এ কাজ শুরু করে সে। দীর্ঘ তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে বিরামহীনভাবে এ কর্মসাধনায় নিয়োজিত থেকেছে সে। তার অসামান্য ও বৃহৎ কলেবরের এই বইটি প্রকাশ করছে সৃজনশীল বই প্রকাশের নামি-দামি প্রকাশনা-প্রতিষ্ঠান শোভা প্রকাশনী। বইটি ইনশাআল্লাহ, এবারের বই মেলায় আসবে।
-কেএল