আওয়ার ইসলাম: শহুরে জীবনে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থেকেও কেউ কারও খোঁজ নেন না। এমনকি পাশের ফ্ল্যাটে কখন কে আসা যাওয়া করে তাও টের পাওয়া যায় না। তবে কিছু প্রতিবেশী রয়েছে যারা আপনারা কী করেন না করেন সব বিষয়ে নাক গলাতে অভ্যস্ত।
আবার এমন প্রতিবেশী রয়েছে যে আপনার বাড়ির হাড়ির খবর নিতে তৎপর থাকে। শুধু তাই নয়, অকারণে আপনার সঙ্গে ভাব জমানোর জন্য বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে পড়ে। আর এসবের ঝামেলা থেকে এড়ানোর জন্য রয়েছে কিছু টোটকা-
সবসময়ই কি প্রতিবেশী অনুসন্ধানের খোঁজে থাকেন: প্রতি পাড়ায় এমন একজন করে প্রতিবেশী থাকেন, যিনি সব বাড়ি থেকে খবর সংগ্রহ করে এসে এর বাড়ি, ওর বাড়ি খবর বিলি করেন। এবং সব সময় খবরের খোঁজেই থাকেন। এক জায়গা থেকে অন্যত্র কথা লাগানো তাদের অভ্যেস। আপনার সামনে ভালোমানুষটি সেজে থাকবেন ঠিকই তেমনই পিছনে কিন্তু কটূ কথা শোনাতে ছাড়বেন না। এমন মানুষকে কোনও খোঁজই দেবেন না। তবে নিজের সম্বন্ধে বেশ কিছু ভালো কথা শুনিয়ে রাখতে ভুলবেন না। আপনার ভালো কথা লোকে জানতে পারলে আখেরে লাভ আপনারই। কিন্তু অন্য সময় গালি দিতে ভুলবেন না।
যেভাবে উত্তর দেবেন: প্রতিবেশীর প্রশ্নের ধরণ আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন বেশ কিছুদিন থাকার পর। আর এর উত্তর কেমন হবে তাও আপনি ঠিক করে নিন। ঠিক কোন কৌতূহল মেটাতে তিনি সেই প্রশ্ন করেছেন, তা আপনি নিজেই ধরতে পারবেন। আর তাই এমনভাবে উত্তর দিন যাতে কৌতূহল নিবৃত্তি না হয়ে বরং উৎসাহ আরও খানিক বেড়ে যায়। এদের সবসময় বাড়িয়ে এবং শুনিয়ে কথা বলবেন। কোনও কিছুই সহজ ভাবে বলবেন না। তেমনই এদের থেকে পারতপক্ষে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আর যদি সেই এলাকায় আপনার খুব বেশিদিন না থাকার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে জাস্ট পাত্তা দেবেন না।
এমন প্রতিবেশীকে অবশ্যই একটু বুঝে চলুন: এমন প্রতিবেশীর থেকে শুধুই যে দূরে থাকবেন না নয়, বরং এদের একটু সমঝে চলুন। আপনার কোন কথাই যাতে এদের কানে না পৌঁছয় সেই চেষ্টা করুন। একসই সঙ্গে এইরকম লোকজনদের সঙ্গে কখনও খাবার আদান-প্রদানের মধ্যে যাবেন না। কারণ এঁরৈ কিন্তু অন্যের ক্ষতি করতেও দুবার ভাবেন না। এই রকম প্রতিবেশীরা মনে করেন, একমাত্র তাঁরাই সেরা। অন্য সবাই তাঁদের থেকে পিছিয়ে। আর তাই এদের দেখনদারি অনেক বেশি থাকে। যে কারণে এমন প্রতিবেশীকে কখনই এন্টারটেন করবেন না।
-কেএল