শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা

মেসাঞ্জারে দেয়া তালাক কার্যকর হবে কি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রশ্ন : মুহতারাম মুফতি সাহেব! প্রায় বছর খানেক পূর্বে আমি বিয়ে করি। বিয়ের সময় কাবিননামা লেখা হয়নি। এবং আদৌ আমার স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেয়নি। কয়েক দিন আগে আমার স্ত্রীর সাথে সামান্য ঝগড়া হয়। সে মেসেঞ্জারে আমাকে লেখে- ‘তালাক নাম্বার ওয়ান নুরজাহানের ছেলেকে, তালাক নাম্বার টু সিরাজের ছেলেকে, তালাক নাম্বার থ্রি তামান্নার ভালোবাসাকে’।

উল্লেখ্য, আমার স্ত্রীর তালাক সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। এখন সে কান্নাকাটি করছে। আমার জানার বিষয় হলো, তার এ লেখার দ্বারা কি আমাদের মাঝে তালাক হয়ে গেছে? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মুহাম্মদ মিরাজ
ফুলবাগিচা, লালমোহন, ভোলা

জবাব: ইসলামী শরীয়তে তালাক দেয়ার অধিকার একমাত্র স্বামীর। স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদান করে তাহলে স্ত্রী তালাক দেয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রশ্নোল্লিখিত বর্ণনা অনুযায়ী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ায় তা কার্যকর হয়নি। তাই আপনাদের ঘর সংসার করতে কোন সমস্যা নেই। অবশ্যই মনে রাখবেন, তালাক কোন ছেলে খেলা নয় তাই ভবিষ্যতে কখনো তালাক দেয়ার অবস্থা তৈরি হলে মুরুব্বি কিংবা কোন আলেমের সাথে পরামর্শ করে শরীয়ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন।

المراجع والمصادر
(১) قوله تعالى:{ياأيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَآءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُواْ الْعِدَّةَ وَاتَّقُواْ اللَّهَ رَبَّكُمْ لاَ تُخْرِجُوهُنَّ مِن بُيُوتِهِنَّ وَلاَيَخْرُجْنَ إِلاَّ أَن يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ لاَ تَدْرِى لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْراً} [الطلاق:১]
(২) سنن ابى داود: ২/৪২৭ كتاب الطلاق،
عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : أبغض الحلال إلى الله تعالى الطلاق.
(৩) فتح القدير: ৭/৪৯২ فَصْلٌ وَيَقَعُ طَلَاقُ كُلِّ زَوْجٍ إذَا كَانَ عَاقِلًا بَالِغًا وَلَا يَقَعُ طَلَاقُ الصَّبِيِّ وَالْمَجْنُونِ وَالنَّائِمِ لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ {كُلُّ طَلَاقٍ جَائِزٌ إلَّا طَلَاقَ الصَّبِيِّ وَالْمَجْنُونِ}...وَلِأَنَّ الْأَهْلِيَّةَ بِالْعَقْلِ الْمُمَيِّزِ...
(৪) الدر المختار: ৩/২৩৬ (فأهله زوج عاقل بالغ مستيقظ) ...ويقع طلاق كل زوج بالغ عاقل ولو تقديرا الخــــــ
(৫) الدر المختار: ৩/৩২৫ وكل لفظ يصلح للإيقاع منه يصلح للجواب منها وما لا يصلح للإيقاع منه (فلا) يصلح للجواب منها، فلو قالت: أنا طالق أو طلقت نفسي وقع، بخلاف طلقتكَ لأن المرأة توصف بالطلاق دون الرجل.
(৬) رد المحتار: ৩/৫১ وكذا قولها أنا طالق أو طلقت نفسي أسندت الطلاقَ إلى نفسها فيصح جوابا لأنه لو أسند الطلاق إليها يقع، بخلاف قولها طلقتكَ.
(৭) الفتاوى العالمكرية: (১/৪৫৭) (زكريا)
لا بد من ذكر النفس أو التطليقة أو الإختيار فى أحد الكلامين لوقوع الطلاق بانْ قال الزوج: اختارى نفسكِ أو اختارى تطليقة أو اختارى اختيارة الخـــــ
(৮) فتاوی محمودیہ :১৯/১০১
اگر بعد عقد نکاح ان شرائط سے تفويض طلاق کی ہے يا قبل نکاح ، مگر ان کو نکاح کی طرف منسوب و مضاف کيا ہے تب تو يہ شرائط معتبر ہے۔۔۔ اور اگر ان کو نکاح کی طرف منسوب ومضاف نہيں کيا ہے، تو شرعا اس کا کوئی اعتبار نہيں، يہ سب شرطيں اور تفويض بيکار ہيں، عورت کو اپنے اوپر طلاق واقع کرنے کا اختيار نہيں۔
(৯) فتاوی محمودیہ :১৮/৯৯ عورت کے کہنے سے کچھ نہيں ہوتا، طلاق دينے کا حق مرد کو ہے۔

উত্তর লিখনে
মুফতি আবুল ফাতাহ কাসেমি
উস্তাদ, জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরা, ঢাকা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ