শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মধুর আশ্চর্যজনক কিছু ব্যবহার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শীতকাল সকলের কাছে পছন্দের হলেও শরীরের যত্ন না নিলে সর্দি-জনিত বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। সর্দি-কাশির সমস্যা ছাড়াও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অনেকের আবার রাতে ঘুম হয় না। এ সকল সমস্যার সমাধানে এক নাম মধু। মধু থেকেই সমাধান মিলবে এবং শীতে নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে শীতও কম অনুভব হবে। সেই সঙ্গে শরীরের অনেক অসুখও দূরে থাকবে। এবার তাহলে মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

হালকা সর্দি-কাশিতে তুলসীপাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সামান্য গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির প্রকোপ কয়েকদিনেই কমে যায়। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কখনো মধু খাওয়াবেন না। মধুতে থাকা ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম নামের রেণু থাকে। এ উপাদানটি বয়স্ক মানুষদের অন্ত্রে বংশবিস্তার করতে পারে না কিন্তু বাচ্চাদের পেটে বেড়ে উঠে বিষক্রিয়া তৈরি করার সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণত শীতে পোড়া ও কাটাছেরা ঠিক হতে সময় নেয় অনেক। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান মানবদেহের ক্ষত, পোড়া ও কাঁটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শরীরের কোথাও পুড়ে বা কেটে গেলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে মধুর পাতলা একটি প্রলেপ দিন। এতে করে ব্যথা কমবে এবং দ্রুত নিরাময় হবে।

শীতে ঠাণ্ডাজনিত কারণে অনেকেরই শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। এমন সমস্যায় মধুর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা, মধুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক কার্যকরী। চা কিংবা উষ্ণ পানির সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে কয়েকদিনের মধ্যে আপনি নিজেই ফলাফল পাবেন।

গ্যাস্ট্রিক-আলসারের ক্ষেত্রে মধু উপকারী। ১০০ গ্রাম কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার আসে। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর ঘণ্টা দুয়েক আগে কুসুম গরম পানিতে একটু মধু মিশিয়ে খেলে ঘুম অনেক ভালো হয়।

শীতকালে ঠোঁট ফাটা নতুন কিছু নয়। প্রায় সকলেরই ঠোঁট ফেটে যায়। এমনও অনেক মানুষ আছে যাদের ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ঠোঁটে মধুর প্রলেপ লাগালে ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক দূর করে। এতে ঠোঁট নরম থাকে এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এমনকি ঠোঁটের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পায়।

কাঁচা মধুতে থাকা এনজাইম এবং চুলের জন্য পুষ্টিকর। চুলে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে নিস্তেজ চুলকে চকচকে করে তুলে।

অতিরিক্ত রোদের তাপে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। নিয়মিত মধু ব্যবহারের ফলে সূর্যের রশ্মি ত্বকের গভীর স্তরগুলোয় হাইড্রেশন পুনরুদ্ধার করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ