মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ: সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ মাদরাসা খুলেছেন মাওলানা আহমদ শফি। মাদ্রাসার নাম দিয়েছেন ‘আসসুফফা কুরআন নিকেতন’। সোমবার বিকাল তিনটায় রাজধানীর খিলগাঁও কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন বস্তিতে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনি ক্লাস শুরু হওয়ার আগে পড়তে আসা শিশুদেরকে অজু শিক্ষা দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় এবং তাদের মাঝে নতুন পাঞ্জাবি টুপি ও মেয়েদেরকে হিজাব এবং মাস্ক দেওয়া হয়।
এছাড়াও ক্লাস শেষে জিলাপি, বিস্কুট, চকলেট, এবং শীতের জন্য মেরিল, ও খেলাধুলার জন্য বেলুন দেওয়া হয়।
মাওলানা আহমদ শফি আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরকে সপ্তাহে তিনদিন পাঠদান করা হবে। শিশুরা যেন পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হয় তাই ক্লাসের পরে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশব্যাপী যখন লকডাউন কার্যকর করা হয়, তখন থেকেই নিজের একক উদ্যোগে মাওলানা আহমদ শফি অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! ৫০০ টাকায় ২৫ জন অসহায়ের মুখে আহার এর সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসা ‘আসসুফফা কুরআন নিকেতন’ আজ উদ্বোধন হলো।
কিছু কথা বলে নিই, কিভাবে এই মাদ্রাসা করা।
আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, করোনা মহামারির সময় কালীন থেকে আমরা গরীব, অসহায়, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রম মানুষের মুখে আহার দিয়ে আসছিলাম। আমাদের এই ছোট্ট ইভেন্ট থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। গতমাসেও আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি।
তাই ভাবলাম আমাদের ইভেন্ট থেকে যেহেতু আমরা সপ্তাহে ৩/৪ দিন আহার দিতাম। এই আহার এখন থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে দিব এবং তার পূর্বে ওদেরকে কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা শিক্ষা প্রদান করবো এবং এই উদ্দেশ্যে একমাস ওদের পেছনে মেহনত করেছি।
যেই জায়গাটিতে বসে আমরা শিক্ষা প্রদান করতাম সেটি কোনো পরিবেশ যোগ্য ছিল না। মনে হলো জায়গাটি যদি বিদ্যা পাঠদানের উপযোগী করে তুলি ও পাশাপাশি বাচ্চাদেরকে ড্রেস দেই তাহলে এই বাচ্চাদের মাঝে শেখার আগ্রহটা আরো বেড়ে যাবে।
তাই আমাদের পেইজ থেকে ঘোষণা দিয়ে ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসার জন্য কাজ শুরু করি। এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করি। আলহামদুলিল্লাহ।
মাওলানা আহমদ শফি বলেন, আমার ব্যক্তি উদ্যোগকে আমি আরও বড় পরিসরে করতে চাই। কাজ করতে আগ্রহী এমন আরও কিছু যুবকদেরকে নিয়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালতে চাই।
তিনি বলেন, কেউ যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান, তিনি যেন যোগাযোগ করেন।
-কেএল