শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মাত্র ৮৬ দিনে কোরআন হিফজ করলেন জাকারিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মাত্র ৮৬ দিনে কোরআন মুখস্থ করলেন ১২ বছর বয়সি মো. জাকারিয়া হুসাইন। মেধাবী এ কিশোর এতো অল্প বয়সে ও কম সময়ে হেফজ শেষ করায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে।

জানা যায়, হাফেজ মো. জাকারিয়ার বাবা সেলিম রেজা পেশায় অটোরিক্সা চালক। লজিং থেকে পড়াশোনা করে সে এমন বিরল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। এক ভাই দুই বোনের সংসারে সে সবার ছোট। মো. জাকারিয়া হুসাইন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই কবরস্থান সংলগ্ন আল জামিয়াতুল আহলিয়াতুল আমিনিয়া (তামাই কবরস্থান মাদরাসা) মাদরাসার ছাত্র। ওই মাদরাসা প্রাঙ্গনে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করে।

লুঙ্গি শিল্পের গ্রাম হিসেবে খ্যাত তামাই গ্রামে মাদরাসাটি ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত এ মাদরাসা প্রায় ১১ শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে।

আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সমাজসেবক আলহাজ্ব ফজলার রহমান তালুকদার, মো. রুহুল আমিন মিঠু, অধ্যক্ষ মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মো. আবদুল মান্নান তালুকদার, মো. আইয়ুব আলী খান ও আলহাজ্ব নান্নু আকন্দ প্রমুখ।

সংর্বধনা শেষে হাফেজ মো. জাকারিয়াকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাফেজ জাকারিয়া বড় হয়ে হক্কানি আলেম হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। তার শিক্ষকরা আজীবন তার পাশে থাকার কথা জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত শেষে মো. জাকারিয়া জানায়, আমি যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার পেছনের মূল অবদান আমার শিক্ষক হাফেজ এনামুল হাসানের। এ ছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও অবদান ছিল।

হাফেজ এনামুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, হাফেজ জাকারিয়া কম করে হলেও প্রতিদিন ৮ পৃষ্ঠা সবক শুনিয়েছে। মাঝে-মধ্যে বেশিও মুখস্থ করত। সবোর্চ্চ ১৫ পৃষ্ঠা একদিনে মুখস্থ করেছে। সে পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী, তাকে পড়ার জন্য কখনও তাগাদা দিতে হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ