মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর>
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব। বাংলাদেশের বিদগ্ধ এ আলেম বিদায় নিয়েছেন গত ১৩ ডিসেম্বর রোববার। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মাত্র ২৮ দিন পূর্বে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব।
তারও দুই মাস দশ দিন পূর্বে গত ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি ও আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর কো-চেয়ারম্যান। ছিলেন রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ও জামিয়া সুবহানিয়া মাহমুদ নগর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম।
এছাড়া সারাদেশের অসংখ্য মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও মোতাওয়াল্লী ছিলেন তিনি। সারাদেশের অসংখ্য দাওরা হাদিস মাদরাসার উদ্বোধনী ক্লাস ও বুখারী শরীফের শেষ হাদিসের দরস দিতেন তিনি।
নিজের পরিবার, সন্তানের চেয়েও জমিয়ত, হেফাজত ও মাদরাসাকে মনে করতেন নিজের আপন জায়গা। তার ছোট সাহেবজাদা মুফতি জাবের কাসেমী এক স্টাটাসে জানিয়েছিলেন, যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন যে, ঘর হল তোমার সংসার। আর জমিয়ত হেফাজত ও মাদ্রাসা হল আমার সংসার। সব সময় হেফাজত, জমিয়ত ও মাদ্রাসা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। তার বিদায় কওমি অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হয়ে গেছে।
পদগুলো হলো- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব পদ। আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর কো-চেয়ারম্যান পদ। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি পদ। এছাড়া আরও অসংখ্য মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও মুতাওয়াল্লী পদ শূন্য হয়েছে। তবে তার তার বিদায় কে আসছেন পদগুলোতে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা, আলোচনা। তবে সময় এলেই সব আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমডব্লিউ/