শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

‘আল্লাহ ও মুহাম্মদ’ যুক্ত নামলিপি নিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার হুকুম কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: ‘আল্লাহ ও মুহাম্মদ’ যুক্ত নামলিপি নিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার হুকুম কী? আমাদের অনেকের নামের শুরুতে মুহাম্মদ থাকে। আবার কারো নামের শেষে থাকে আল্লাহ নাম। যেমন আতাউল্লাহ কিংবা মুহাম্মদুল্লাহ। কিন্তু নামের এ অংশ নিয়ে কি ওয়াশরুমে যাওয়া যাবে? এটি একটি গুরুত্তপূর্ণ মাসআলা। আমাদের অনেকেরই জানা নেই এর জবাব।

এমনি গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি মাসআলা সম্প্রতি ভারতের এক লোক জানতে চেয়েছেন দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে। দারুল উলুম দেওবন্দ ফতোয়াটির জবাব প্রদান করেছে তাদের ওয়েবসাইটে।

প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একটি জাপানি সংস্থায় কাজ করি। যেখানে প্রতিটি কর্মী তার ইউনিফর্মে তার নামের ট্যাগ রাখে। সেখানে অনেকের নামে মুহাম্মদ আলী, আবদুল্লাহও রয়েছে। আমি কি এই জাতীয় নামসহ ওয়াশরুমে যেতে পারি?”

জবাবে দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তির নামে আল্লাহ তায়ালার অংশ বা মুহাম্মদ ইত্যাদি রয়েছে। তার নামট্যাগ (নামলিপি) সহ ওয়াশরুমে যাওয়া উচিত নয়। এই নামগুলো শরিয়তে সম্মানিত। কেননা মহানবি হজরত মুহাম্মদ সা. এর আংটিতে লেখা ছিলো ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’। এ নামে এটি খোদাই করা হয়েছিল।

তাই আপনি যখনই টয়লেটে যান, আপনি আপনার নামলিপি বা নামের ট্যাগসহ লেখা সিলটি খুলে রাখুন। অতএব ফতোয়া হলো এই জাতীয় নামলিপি যাদের রয়েছে সেগুলো ওয়াশরুমে যাওয়ার আগে নিজের নাম ট্যাগটি খুলে ফেলতে হবে বা কোনও কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যাতে এটা দেখা না যায়। আর আল্লাহ বা মুহাম্মদ ইত্যাদির নামের প্রতি অসম্মান ও প্রদর্শনও না করা হয়।

দলীল: হজরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (হাম্মামখানা) ওয়াশরুমে যান তখন নিজের আংটি খুলে নেন। (আবু দাউদ ও তিরমিজি, হাশিয়াতুত তাহাবী আলী আল মারাকী, কিতাবুত তাহারাত, পৃষ্ঠা ৫৪, দারুল কুতুব ইলমিয়াহ, বৈরুত)

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ