আওয়ার ইসলাম: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের মুসলিম দেশ কসোভো ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি জেরুসালেমে তাদের দূতাবাস স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। কসোভোর এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে আরব লীগ।
গত শনিবার ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়ার কসোভোর সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে আরব লীগের মহাসচিব আহমাদ আবুলগেইত এক বক্তব্যে বলেন, কসোভোর এ সিদ্ধান্তকে ‘ভ্রান্ত’ এবং ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বিরোধী’।
এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, বলকান অঞ্চলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সইয়ে আমেরিকা মধ্যস্থতা করেছে। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার দু্ই যুগ পর এই দুই দেশ একটি চুক্তিতে পৌঁছালো।
তিনি বলেন, এই চুক্তিতে দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিয়া বলেছে যে, তারা তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে অধিকৃত জেরুজালেমে নিয়ে যাবে। মুসলিম অধ্যুষিত কসোভোও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে তারাও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে এবং একই সঙ্গে তারা জেরুসালেমে তাদের নিজস্ব দূতাবাস স্থাপন করবে।
ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা পিএলওর নির্বাহী কমিটির সচিব সায়েব এরকাতও সার্বিয়া ও কসোভোর এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি অভিলাষ পূর্ণ করতে ফিলিস্তিনি জনগণকে বলির পাঁঠা বানাচ্ছেন।
কসোভোর বেশিরভাগ মানুষ যেহেতু আলবেনিয়ান গোত্রের, তাই দেশটির প্রধান ভাষাও আলবেনিয়ান। এছাড়া সেদেশে আছে সংখ্যালঘু সার্ব জনগোষ্ঠী, তাদের ভাষা আবার সার্বিয়ান। কসোভো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ, যদিও দেশটির সমাজ অনেকটাই ধর্মনিরপেক্ষ। দেশটির জনসংখ্যার শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মুসলিম। সূত্র: মিডলইস্ট আই
-এটি