শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

ফেসবুক আমাদের ঈমান-আমল ধ্বংস করে দিচ্ছে না তো?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী।।
মুহতামিম: জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদরাসা

আকিদার অনেক কিতাবে বাতিল ফেরকা গুলোর মৌলিক আলামত এর মধ্যে, যেমনি ভাবে আল-মুবালাগা ফী তা'যীমিস সালিহীন বা আল্লাহর ওলীদের সম্মান এর ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি এর কথা লেখা হয়েছে, অনুরূপভাবে পথ ভ্রষ্ট দলের আরেকটি বড় আলামত লেখা হয়েছে, বুগযুস্ সালেহীন বা আল্লাহর ওলীদের ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণ।

বর্তমানে আকাবিরদের কে উদ্দেশ্য করে তাচ্ছিল্য মূলক লেখালেখি করছেন অনেকেই। মুসলমান মাত্রই বিশ্বাস করে যে, নবী ছাড়া কেউ বেগুনাহ নন। কোন আলেম ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নয়।কিন্তু বর্তমানে কোন রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই আমাদের আকাবির আসলাফের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার ও অপবাদমূলক লেখার ছড়াছড়ি চলছে। তথ্য প্রমাণের প্রয়োজন মনে করছেন না।

যে বলছে, সে কে বা তার কি স্বার্থ আছে? এইসব না জেনে সব কথা বিনা বিচারে বিশ্বাস করে নিচ্ছে। যার যে ব্যাপারে কথা বলার অধিকার নেই, সে ব্যাপারে বলে যাচ্ছে। তাছাড়া ইসলামী শরীয়তে কি নসীহত বা উপদেশের কোনো নীতিমালা নেই। অবশ্যই আছে।কোথায় কোন কথা কতটুকু বলা যাবে এবং কিভাবে বলতে হবে,তারও নিয়ম-নীতি ইসলামী শরীয়তে রয়েছে।

আমরা কারো বিরুদ্ধে কুৎসা মূলক লেখা পেলেই তাকে সমর্থন করে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে থাকি।এই সুযোগে দুষ্কৃতকারী লেখকরা উৎসাহিত হয়ে থাকে। অথচ আমাদের সবাই জানে যে অন্যায়ের প্রচার-প্রসারে সহযোগিতা করা , মূলত: অন্যায় করার সমান অপরাধ।

এর অনেকগুলো কুপ্রভাব ও পরিণতি রয়েছে। এক. এসব লেখা দেখে অমুসলমানরা, পথ ভ্রষ্ট ফেরকার লোকেরা আমাদের প্রতি আক্রমণের অস্ত্র পেয়ে যাচ্ছে। দুই. ইসলামের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিবর্গকে অপবাদ, মিথ্যা দিয়ে আঘাত করে সরাসরি ইসলামের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তিন. সমাজে ইসলামী প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। চার. মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে আলেম সমাজের বিভক্তি ও দলাদলির সূত্রপাত ঘটছে। পাঁচ. এইসব লেখক ও মন্তব্যকারীরা ঈমানহারা হয় মরার কারণ হতে পারে। বিষয়টিকে শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ, অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উপরোক্ত দুই শ্রেণীর পথ ভ্রষ্টতা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ