মোস্তফা ওয়াদুদ: একমাস হলো খুলেছে দেশের হেফজ বিভাগ। গত মাসের ১২ জুলাই থেকে খোলার সরকারি অনুমতি পেয়েছে এ বিভাগ। আজ আগস্টের ১২ তারিখ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বন্ধ হওয়ার দীর্ঘদিন পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম কোনো বিভাগ খুলে দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস চলছে এ বিভাগে। চলতি মাসের ১ তারিখে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্লাস বন্ধ ছিলো কিছুদিন। ঈদের চার পাঁচদিন পর থেকে আবারও চালু হয়েছে দেশের হেফজখানাগুলো।
সাধারণত প্রতি বছর রমজানের আগেই বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর অধীনে হেফজ বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা ভাইরাসের প্রকট থাকায় এ বছর যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ১২ জুলাই হেফজ বিভাগ খুলে দেয়ার পর থেকেই ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে আলোচনা চলছিলো কেন্দ্রীয় পরীক্ষার তারিখ নিয়ে। ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা বিষয়টির আলোচনা আরও ব্যাপক আকার লাভ করেছে। এদিকে মাদরাসা খোলার বয়স একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ঘোষণা হয়নি কেন্দ্রীয় পরীক্ষার তারিখ।
এ বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে বেফাকের সহকারী মহাপরিচালক ও সাময়িক নিয়োগপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘শীঘ্রই দেশের হেফজ বিভাগের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বেফাক অফিসে ‘পরীক্ষা বিষয়ক’ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে পরীক্ষার তারিখের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তখন এ বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাতে পারবো।’
পরীক্ষার ধরনে কোন পরিবর্তন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো ছাড়া অন্যান্য এলাকার স্বাভাবিক হেফজখানার কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় কোন পরিবর্তন আনা হবে না। আগের নিয়মেই অনুষ্ঠিত হবে।’
এদিকে হেফজখানাগুলো খুলে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ছাত্রদের অভিভাবকগণ। তাদের ভাষ্য-‘দীর্ঘদিন ছুটি থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা কুরআন হেফজ ভুলে যাচ্ছিলো। মাদরাসা খুলে যাবার কারণে ভুলে যাওয়ার বিপদ কেটেছে। নতুন করে আবার ছাত্ররা মনোযোগের সাথে পড়াশুনা করছে।’
এমডব্লিউ/