শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

'শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে বেফাক পুনর্গঠন করতে হবে'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের কওমি মাদরাসা সমূহের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী প্ল্যাটফর্ম বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর দায়িত্বশীল ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনাকাঙ্খিত বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ করে এবং একে পরের গোপনীয় ফোনালাপ প্রচার করে পরিবেশকে এতটাই নোংরা করে তোলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরামের প্রতি সাধারণ জনগণের যে একটি আস্থা ও ভক্তি-শ্রদ্ধার জায়গা ছিল, তা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। যা সামগ্রিকভাবে দেশের সকল ইসলামপন্থিদের জন্য অশুভ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের আলাদা শিক্ষা বোর্ড থাকলেও বেফাকের সঙ্গে আমরা সবসময়ই আন্তরিকভাবে জড়িত ছিলাম। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশ কুরআন শিা বোর্ড বেফাকের অন্তর্ভুক্ত একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সে সূত্রে পদাধিকারবলে আমীরুল মুজাহিদীন হযরত পীর সাহেব চরমোনাই বেফাকের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি এবং কুরআন শিা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী বেফাকের কেন্দ্রীয় সহকারি মহাসচিব। শুধু বেফাকের দায়িত্বের কারণে নয় বরং এদেশের সহি ধারার ইলমে দ্বীনের নিয়ন্ত্রণকারী মারকাজ হিসাবে বেফাকের প্রতি আমাদের নৈতিক ও আদর্শিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এজন্যই বেফাকে কোনো সঙ্কট তৈরি হলে আমরা বিচলিত না হয়ে পারি না। বর্তমান অনাকাঙ্খিত সঙ্কটও আমরা বেশ কিছুদিন ধরে দূর থেকে পর্যবেণ করছি।

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দ্রুততার সঙ্গে সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হবেন। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পরিস্থিতি দিন দিন আরো জটিল ও ঘোলাটে হচ্ছে। বেফাক সংশ্লিষ্ট অনাকাঙ্খিত বিতর্কে সারাদেশের ওলামা এবং তালাবারা জড়িয়ে পড়েছে। আমাদের কাছেও ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে নানামুখী অনুরোধ আসছে, বেফাকের সঙ্কট নিরসনে গঠনমূলক কোনো উদ্যোগ নেয়ার জন্য। যেসব মুরুব্বিগণ বেফাক পরিচালনা করছেন, তাদের উচিত পরিস্থিতির বাস্তবতা ও নাজুকতা উপলব্ধি করে সঙ্কট নিরসনে দ্রুত উদ্যোগী হয়ে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে সুবিবেচনার দিকে তাকিয়ে আছি।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, তারা যদি দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম না হন তা হলে এই ঐতিহ্যবাহী মারকাজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং একে একটি সত্যিকারের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আমরা দ্রুত দেশের সচেতন ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে বেফাক পুনর্গঠনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। আমরা চাই এদেশের হক্কানী ওলামায়ে কেরামের একটি ঐক্যবদ্ধ মারকাজ কোন ব্যক্তি বা পরে প্রভাব বলয়ে না থেকে নিরপেভাবে তার গঠনমূলক প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করুক। কেউ যাতে জবাদিহিতার উর্ধে না থাকে এমন একটি গ্রহণযোগ্য সিস্টেম গড়ে উঠুক।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ