শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

গির্জায় রূপান্তরিত বিশ্বের ঐতিহাসিক ছয়টি মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইতিহাসের কালপরিক্রমায় বিধর্মী শত্রু দ্বারা মুসলিম উম্মাহ নানারকম জুলুম-অচ্যাচারের সম্মুখীন হয়েছে। এরই অন্যতম বাস্তব একটি চিত্র হলো- বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মসজিদকে তারা অন্যায়ভাবে গির্জায় রূপান্তর করেছে। মসজিদ থেকে গির্জায় রূপান্তরিত হওয়া ঐতিহাসিক ছয়টি মসজিদ নিয়ে লিখেছেন-বেলায়েত হুসাইন।

১. মসজিদ আমর ইবনুল আস, মিসর

এটি মিসরের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। ৬৪২ সালে দামিয়াত নগরী জয় করার পর মিসরীয় মুসলমানরা মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে জেরুজালেমের তৎকালীন শাসক জ্যান ডি ব্রায়ান মুসলমানদের থেকে দামিয়াত দখল করে নেন ও ‘মসজিদ আমর ইবনুল আস’কে গির্জায় রূপান্তর করেন। তবে ১২২১ সালে ক্রুশেডাররা যখন মিসর ত্যাগ করে তখন আবার এটিকে মসজিদের রূপে ফিরিয়ে আনা হয়।

صورة

মসজিদের ভাগ্য নির্ধারণী-খেলা এখানেই শেষ হয়নি; ১২৪৯ সালে আবার দামিয়াতের মালিকানার পরিবর্তন ঘটে। শহরটির অধিকার নেন ফ্রান্সের রাজা নবম লুইস। তার আদেশে মসজিদটি পুনরায় বিধর্মীদের উপাসনালয়ের ভাগ্যবরণ করে ক্যাথিড্রালে রূপ নেয়। অতঃপর ১৮০১ সালে ফরাসিরা মিসর ছাড়ার পরে মসজিদ আমর ইবনুল আস আবার তার আসল পরিচয় ফিরে পায়।

২. কিশতাওয়াহ মসজিদ, আলজেরিয়া

১৭৯২ সালে উসমানী শাসনামলে আলজেরীয় মুসলমানগণ এটি নির্মাণ করেন। অতঃপর ফরাসিরা আলজেরিয়ায় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পরে তাদের নেতা ডিউক ডি রোভিগো মসজিদটিকে গির্জা বানিয়ে ফেলেন। তারপর ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা ফিরে পেলে আলজেরিয়ার মুসলমানগণ আবার এটিকে মসজিদে রূপান্তর করেন।

৩. মসজিদ কসরুল হামরা, স্পেন

খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাদশাহ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন আল-আহমার ঐতিহাসিক এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। সেই যুগে এটিকে বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে ধরা হতো। ১২৩৬ সালে আন্দালুসিয়ার পতনের সময় বিধর্মীরা মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। পরবর্তীতে এটিকে তারা ‘সেন্ট মেরি’ গির্জায় রূপান্তর করে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের দক্ষিণাঞ্চলে আজও মসজিদ কসরুল হামরা গির্জারূপে ভারাক্রান্ত মনে দাঁড়িয়ে আছে।

৪. কর্ডোভা গ্র‍্যান্ড মসজিদ, স্পেন

ইতিহাসের বহুল আলোচিত এই মসজিদটির নির্মাতাও বাদশাহ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন আল-আহমার। ৭৫৪ সালে এটি নির্মাণ করেন তিনি। কর্ডোভায় অবস্থিত মুসলমানদের ঐতিহাসিক এই স্মৃতি-স্থাপনা ৯৮৭ খৃষ্টাব্দে মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করেন আমির তৃতীয় আব্দুর রহমান। আন্দালুসিয়ার পতনের পরে এটিকেও গির্জা বানিয়ে ফেলা হয়। নাম দেয়া হয়, ‘ভার্জিন মেরি’।

৫. মসজিদ বাবুল মারদুম, স্পেন

স্পেনের টলেডোতে অবস্থিত এই মসজিদের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় ৯৯৯ সালে। অতঃপর ১০৮৫ সালে শহরটি মুসলমানদের হাতছাড়া হলে এটিকে ‘লাইট অব ক্রাইস্ট’ নাম দিয়ে গির্জায় রূপান্তর করেন ষষ্ঠ আলফানসো। এখন একসময়ের মসজিদ বাবুল মারদুমকে ঘিরে স্পেনের আকর্ষণীয় একটি পর্যটনস্থল তৈরি হয়েছে।

৬. সেভিল গ্র‍্যান্ড মসজিদ।

মসজিদটি ১১৮২ সালে খলিফা আবু ইউসুফ ইয়াকুবের শাসনামলে নির্মিত হয়েছে। অতঃপর রাজা দ্বিতীয় ফার্নান্ডোর হাতে সেভিলের পতন হয় এবং তিনি মসজিদটিকে গির্জায় রূপান্তরের আদেশ দেন।

সূত্রঃ আনাদুলু এজেন্সি আরবি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ