মূল: ড্যানিয়েল হাকিকাতজু
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান
বিয়ের ক্ষেত্রে কিশোর ও যুবকদের জন্য বয়স সীমা ঠিক করে দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। আমি এটাও মনে করি না যে, বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ডিগ্রি বা চাকুরী থাকতে হবে।
তবে আমি মনে করি বিয়ের জন্য পরিণত হওয়া আবশ্যক।
সাধারণত মানুষ পরিণত কিনা এটা বোঝার জন্য বয়স ও ডিগ্রি ইত্যাদির দিকে লক্ষ্য করে থাকে।কারণ বাহ্যিকভাবে বিবাহের উপযুক্ততা বোঝার জন্য এগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, ডিগ্রি ও চাকুরীর মাধ্যমে উপযুক্ততা প্রমাণ করা সঠিক নয়।একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি,কর্মজীবনে সফল মানুষ এবং একজন বিত্তবান ব্যক্তির চেয়ে কমবয়সী কিশোরের মানসিকভাবে উপযুক্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
তবে আমাদের জন্য নিজেদের এবং অন্যদের উপযুক্ততা বোঝার একটি সহজ ও বাস্তবসম্মত পন্থা রয়েছে। আপনি নিম্নোক্ত সম্পর্কগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই তা বুঝতে পারবেন।
১.আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক।
২.পিতামাতার সাথে সুসম্পর্ক।
৩.ভাইবোন, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা।
আপনি এই সম্পর্কগুলো ঠিক রাখতে যদি সক্ষম না হন তাহলে বৈবাহিক জীবনে সফল হবেন এমন আশা করাটা ঠিক হবেনা।কারণ সফল বৈবাহিক জীবনের জন্য এই সম্পর্কগুলোর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
আমাকে এই অজুহাত দেখাবেননা যে, আপনার পিতামাতা ও পরিবারের লোকদের বোঝানো সম্ভব না।
কারণ কাউকে মানিয়ে নেওয়া এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা পরিণত হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ।আর এ কথা বলাইবাহুল্য পরিণত হওয়া ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা বৈবাহিক জীবনে সফলতা লাভের জন্য আবশ্যক
মোটকথা যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের আত্মোন্নোয়নে জোর দেওয়া উচিত। আল্লাহ মুমিনদের জন্য উপযুক্ত পাত্র/পাত্রী খুঁজে পাওয়া সহজ করে দিন আমিন
-এটি