আওয়ার ইসলাম: করোনা পরিস্থিতিতে চিকৎসকরা সবসময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর। তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে সেই গুণ। ব্যতিক্রমীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল, জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে তুলসী।
প্যাথোজেন বা ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করতে এই পাতার জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিন এই পাতা যদি কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায় কিংবা অন্যভাবে, এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, রোজ তুলসী পাতা কাঁচা চিবিয়ে খেলে সবচেয়ে ভালো। গরম পানিতে তুলসী পাতা দিয়ে সেই পানি নিয়মিত পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কণ্ঠস্বর ঠিক রাখতে অপ্রতিরোধ্য তুলসী। মধুর সঙ্গেও রোজ চার থেকে পাঁচটি কাঁচা তুলসী পাতা খেলে তা উপকার দেবে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে তুলসী- ফাই্টোকেমিক্যালস, বায়োফ্ল্যাভিনয়েড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এতে।
এতে রয়েছে রোজমারিনিক অ্যাসিড। এটি শ্বাসনালীর ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও সেই সংক্রান্ত সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
সর্দি-কাশি না হলেও রোজ কাঁচা তুলসী পাতা ৪-৫টি চিবিয়ে খেলে গলা ভালো থাকে। কণ্ঠস্বর হয় মোলায়েম। রোজ চায়ের মধ্যে তুলসী পাতা ব্যবহার করে তুলসী টি খাওয়া যেতে পারে।
মাথা যন্ত্রণা কিংবা কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় আর্য়ুবেদ চিকিৎসকরা তুলসী পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক সময়ই।
তবে তুরসীপাতা অধিক পরিমাণ সেবনে গুরুপাক বা হজম সমস্যা হতে পারে। মাথা ব্যথার আশঙ্কাও আছে। সেবন পরিমাণ : তাজা পাতা ৩/৪ গ্রাম। শুষ্ক পাতা ০.৫ গ্রাম বা ১. ৫ গ্রাম।
-এএ