আব্দুল কাদির আল মাহদি ।।
বার্সেলোনা, স্পেন থেকে>
কুড়ে পাওয়া টাকা পয়সার তিন অবস্থা হতে পারে। এক. কুড়ে পাওয়া টাকা পয়সার সাথে যদি আইডেন্টিটি তথা পরিচয় করার মত কোন জিনিস থাকে। যেমন টাকা পয়সার সাথে কোন আইডি কার্ড মিলল অথবা কোন কাগজে ব্যক্তির কোন নাম্বার পাওয়া গেলো। তখন ব্যক্তি পর্যন্ত হারানো জিনিস পৌঁছানো আবশ্যক বা জরুরী।
দুই. কুড়ে পাওয়া টাকা পয়সা যদি (لا تتبعها همة أوساط الناس) সাধারনত ধনী-গরীবের ভিতর মাঝারি ধরনের গুরুত্ব বহন করে পরিমান টাকা পয়সা পাওয়া গেলে। যেমন দশ থেকে ত্রিশ চাল্লিশ পাউন্ড বা ইউরো। বা বাংলাদেশী একশত থেকে দেড়শত টাকা হলে। একটা উপযুক্ত সময় পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করা। এরপর মালিকের সন্ধান না পেলে, কুড়ানেওয়ালা ব্যক্তি উপযুক্ত হলে নিজে খরচ করতে পারবে। নতুবা অন্য কোন গরিবকে সদকা করে দিতে হবে।
তিন. কুড়ে পাওয়া টাকা পয়সা যদি (تتبعها همة أوساط الناس) ধনী-গরীবের ভিতর মাঝারি পন্থার উপরে গুরুত্ব বহন করে পরিমান টাকা পয়সা পাওয়া গেলে। যেমন এক হাজার টাকা বা দুইশত, তিনশত পাউন্ড বা ইউরো। তাহলে কমপক্ষে এক বছর পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মালিককে খোঁজে বের করার। যেমন ভিবিন্ন বড় বড় সমাগমের স্থানে মালিককে খোঁজাখুঁজি করবে। তারপরও যদি মালিকের সন্ধান না মিলে তাহলে অজ্ঞাত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুড়ে পাওয়া টাকা কোন গরীবকে সদকা করে দিবে।
উল্লেখ্য কুড়ে পাওয়া টাকা পায়সা কোন অবস্থায় মসজিদে সদকা বা মসজিদের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
আল্লাহু আ’আলামু বিসসাওয়াব! আল্লাহ তা’আলা আমাদের দ্বীনের সঠিক বুঝ যেন দান করেন। আমীন
-এটি