শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে তাহাজ্জুদ নামাজের বিকল্প নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুসাইন মাহমুদ।।

আল্লাহ তা'আলা তাঁর প্রিয় হাবিব সা.কে ইসলামের প্রথম যুগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার পূর্বে।

কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণি তাহাজ্জুদ গুজারি।

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। ইসলামের সূচনার যুগে এটি মহানবী সা. ও উম্মত সবার জন্য ফরজ ছিল। রাসূল সা.-এর মে’রাজের পর তা নফল হয়ে যায়। যেমন সূরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহ তা'আলা প্রিয় নবি সা.কে বিশেষভাবে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘হে চাদর আবৃত, রাতের নামাজে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া। (সুরা মুজাম্মিল : ১-২)

আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি। আফজালুস সালাতি বা'দাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।  (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ-হাদিস নং ১১৬৭/২)

রাসুল সা. বলেন,আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দিব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)

রাসুলুল্লাহ সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে।

যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণির লোক তারা, যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িসহ সব যুগের ওলি ও দ্বীনদার তাহাজ্জুদ নামাজে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।

উপরুক্ত কুরআন ও হাদিসের বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় যে, নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদ অতি মর্যাদাপূর্ণ নামাজ।এই নামাজে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীরই পালন করা উচিত। এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ সহজ হবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত তাহাজ্জুদ আদায় করার তাউফিক দিক। আমিন।

ওআই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ