আওয়ার ইসলাম: দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং কৌশলগত ও উর্বর জর্ডান উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
জার্মানি বলেছে, এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইউরোপ।
পশ্চিম তীরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করতে চায় তেল আবিব। বুধবার ওআইসি’র নির্বাহী কমিটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ বৈঠকে এই পরিবল্পনার নিন্দা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় জানানো হয়, ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দুঃসময়ে ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেন। এ সমস্যার দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক বাস্তবসম্মত টেকসই সমাধানের বিষয়ে ওআইসির সব রাষ্ট্রকে একই সুরে বিশ্বের সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার আহবান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে ফিলিস্তন ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের রেজুলেশন, আরব শান্তি উদ্যোগ, চতুষ্ঠয় রোডম্যাপের সময়োপযোগী বাস্তবায়ন মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত ফিলিস্তন এবং ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুসরণ করে পূর্ব জেরুজালেমে রাজধানী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ দেশটির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাবে।’
জার্মানি ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইউরোপ। ইসরায়েল সফররত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বুধবার রাতে তেল আবিবের প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরকে একীভূত করলে ইউরোপের আরো বেশি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
এ সফরে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাবি অ্যাশকোনাজি ও যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গনতেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতে মাস বলেন, ইউরোপের কিছু দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে এবং তারা চেষ্টা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পক্ষ থেকে যেন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সূত্র: আল-জাজিরা।
-এটি