শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি রহ.: জীবন ও কর্ম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম।।

মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি গুজরাটের বেনাস কাঁথা জেলার কালেদা গ্রামে ১৩৬২ হিজরি মোতাবেক ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতামাতা তাঁর নাম ‘আহমদ’ রাখেন। তিনি শিক্ষালাভের উদ্দেশে মাজাহেরুল উলুম সাহারানপুরে ভর্তি হন, এবং ভর্তি রেজিস্ট্রি খাতায় নিজের নাম ‘সাঈদ আহমদ’ লেখেন। পরবর্তীতে তিনি এ নামেই প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

বাবার কাছেই তাঁর হাতেখড়ি হয়। তিনি নিজ গ্রামে তাঁর নাজেরা ও দ্বীনিয়্যাত শিক্ষা অর্জন করেন। এরপর তিনি তাঁর মামা মাওলানা আব্দুর রহমান রহ. এর মাদরাসা দারুন উলূম চাপিতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ছয় মাস ধরে ফারসি ভাষা রপ্ত করেন ও এ ভাষায় লিখিত বিভিন্ন কিতাব অধ্যয়ন করেন। তারপর তিনি মাওলানা নাজির আহমদ পালনপুরি রহ এর মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তাঁর সম্মানিত শিক্ষকদের মধ্যে মুহাম্মদ আকবর মিয়া পালনপুরি ও মাওলানা হাশিম সাহেব বুখারি রহ. বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

হিজরি ১৩৭৭ সালে তিনি মাজাহেরুল উলুম সাহারানপুরে ভর্তি হন। সেখানে তিনি আরবি ব্যাকরণ, দর্শন ও যুক্তিশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ১৩৮০ হিজরিতে তিনি হাদীসশাস্ত্র অধ্যয়ন করার জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। সেখানে তিনি হাদীস ও ফিকহশাস্ত্র অধ্যয়নের পাশাপাশি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবাধ বিচরণের সুযোগ লাভ করেন। মাওলানা নাসির আহমেদ খান হাফি. ছাড়া দারুন উলূম দেওবন্দে তাঁর অন্যান্য সকল শিক্ষক ইন্তিকাল করেন।

১৩৮২ হিজরি মোতাবেক ১৯৬২ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে হাদীসশাস্ত্রের সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন। পরের বছর তিনি ইফতা বিভাগে ভর্তি হন। ইফতা শেষ করার পর ১৩৮৪ সালে তিনি তৎকালীন "আলিয়া গ্রেড টিচার" হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ১৩৯৩ হিজরি পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল থাকেন।

পরবর্তীতে মাওলানা মানজুর নোমানী দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন, এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সেখানকার শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি দেওবন্দে বুখারি ও তিরমিযী শরীফ পড়াতেন। শিক্ষকতায় তিনি অশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

তিনি কেবলমাত্র একজন সফল শিক্ষকই নন, সাথে সাথে তিনি একজন সুলেখকও। এ যাবত তাঁর লেখা প্রায় ৩৫ টি কিতাব প্রকাশিত হয়েছে।

তাঁর প্রকাশিত কিতাবগুলোর মধ্যে আলওয়ানুল কাবির, শরহে ফওজুল কাবির, হাশিয়ায়ে ইমদাদুল ফতোয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর লিখিত হুজ্জাতুল বালিগাহ একটি সুপ্রসিদ্ধ কিতাব। তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি আজীবন জ্ঞানপিপাসুদের নিকট স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন।

জামিয়া নূরুল উলুম ডটকম থেকে ফরহাদ খান নাঈমের অনুবাদ

-ওআই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ