ডা.রিফাত আল মাজিদ
মেডিকেল জার্নালিস্ট>
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম তাঁর একজন সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাসের গবেষণায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় পেয়েছেন নতুন সম্ভাবনা।
চিকিৎসকরা পুরনো দুটি ওষুধ সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ জন রোগীকে প্রয়োগ করেন। এতে দেখা গেছে, মাত্র তিন দিনে করোনার লক্ষণ ৫০ ভাগ কমে যায় আর চার দিনের মাথায় নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
এ প্রসঙ্গে ডা. তারেক আলম গণমাধ্যমকে জানান, তারা করোনা রোগীদের অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করেন। এতে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন।
এটি তাদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর লেগেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আরো আগে এ ওষুধ নিয়ে কাজ করতে পারলে এত দিনে হয়তো অনেককে হারাতে হতো না।
তিনি বলেন, ‘এই ওষুধ দুটি এর আগেও সার্স মহামারির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত করেই বলছি, এই ওষুধ দুটির সম্মিলিত ব্যবহারে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্য দুটি ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডিসিভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।’
ওষুধ দুটি নিয়ে ইতিমধ্যে ভারতেও গবেষণা শুরু হয়েছে। ডা. তারেক আলম জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর ওপর গবেষণা করা হয়েছে। তাতে এই অভূতপূর্ব সাফল্যের সন্ধান পান তারা।
তাদের এ গবেষণার আওতায় এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ওষুধ দুটির সফল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই গবেষণায় অধ্যাপক ডা. তারেক আলমের সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ডা. রুবাইয়ুল মোরশেদসহ আরো অনেকে।
-এটি