শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

কুরআন এবং পানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম।।

বেঁচে থাকার জন্য পানি আল্লাহ তা'য়ালার একটি অপরিহার্য সৃষ্টি। আর তাই পবিত্র কুরআনের অসংখ্য জায়গায় তিনি পানির কথা উল্লেখ করেছেন। মানুষ, গাছপালা ও পশুপাখিসহ আল্লাহ তা'য়ালার সৃষ্টির সবকিছুই বেঁচে থাকার জন্য পানির উপর নির্ভরশীল।

আল্লাহ তা'য়ালা আসমান থেকে তাঁর রহমতস্বরূপ বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনিই স্বীয় রহমত দ্বারা বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন। এবং আমি আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি। সূরা ফুরকান: ৪৮

বেঁচে থাকার জন্য পানির আবশ্যকীয়তা ছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রেই অপরিহার্যরূপে পানির ব্যবহার রয়েছে। পানির মাধ্যমে বিরান ভূমি সজীব হয়ে ওঠে। পানি দ্বারা তৈরি হয় জীবনরক্ষাকারী ঔষধ।

আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা দ্বারা বাগান ও শস্য উদগত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়। এবং লম্বা লম্বা খেজুর গাছ, যাতে ফলে থোকায় থোকায় খেজুর। (এসব) বান্দাদের জীবিকাস্বরূপ এবং বৃষ্টি দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এমনিভাবে পুনরুত্থান ঘটবে। সূরা ক্বাফ: ৯ - ১১

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা পানির বর্ণনার মাধ্যমে কেবলমাত্র এর উপকারিতা-ই উল্লেখ করেননি; বরং মানবজীবনের জন্য অপরিহার্য এই পানি সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তাঁর অসীম ক্ষমতার কথাও উল্লেখ করেছেন। পানিকে জীবনীশক্তির প্রধান উপাদান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি স্বীয় ক্ষমতা ও মহত্বের কথা জানান দিয়েছেন।

কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা যেমনিভাবে বারংবার আসমান থেকে পানি বর্ষণ করে তা দ্বারা নির্জীব ভূমিতে প্রাণের সঞ্চার করার কথা বলেছেন, তেমনিভাবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি চাইলে তাঁর অসীম ক্ষমতার দ্বারা নিমিষেই মানুষের জীবনকে ওলটপালট করে দিতে পারেন।

তিনি তাঁর নিজস্ব ক্ষমতাবলে বিচার দিবসে মৃত মানুষকে প্রাণ দান করবেন। এবং তিনি চাইলে শূন্য থেকেই সবকিছু সৃষ্টি করতে পারেন।

আল্লাহ তা'য়ালা যেমন করে নিজ রহমতের গুণে মানবজাতিকে পানির মতো বিরাট নিয়ামত দান করেছেন, তেমনিভাবে তিনি স্বীয় কুদরত দ্বারা এই নিয়ামত ছিনিয়েও নিতে পারেন।

তিনি বলেন, আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণ মত; অতঃপর আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণও করতে সক্ষম। অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক। সূরা মু'মিনূন: ১৮ - ১৯

এমনিভাবে আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে বহুবার পানির কথা উল্লেখ করেছেন। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তা'য়ালা কোনো কিছুই নিরর্থক উল্লেখ করেননি; বরং পানিসহ তাঁর অন্য সকল নেয়ামতের কথা উল্লেখ করে তিনি মানবজাতিকে এসব নিয়ে গবেষণা করতে বলেছেন।

পানি আল্লাহ তা'য়ালার বড় একটি নেয়ামত। মুসলমান হিসেবে আমাদের এই নেয়ামতের মূল্যায়ন করা উচিত।

কুরআন এক্সপ্লোরার ডট কম থেকে অনুদিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ