রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আজিজ সানজার: নোবেল পুরস্কার জয়ী মুসলিম বিজ্ঞানী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইশতিয়াক আহমেদ ।।

আজিজ সানজারের জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে। তিনি হলেন একজন তুরষ্ক বংশভূত আমেরিকান প্রাণরসায়ন বিদ এবং কোষ বৈজ্ঞানিক। তিনি তুরষ্কের মারদিন প্রদেশের সাভুর নামক জেলায় এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতাপিতা ছিলেন অশিক্ষিত। তবুও তারা তাদের ছেলেকে অনেক সংগ্রাম করে পড়ালেখা করিয়েছেন৷

ছাত্রজীবন থেকেই সানজার ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তার ইচ্ছে ছিল রসায়ান নিয়ে পড়াশোনা করার, কিন্তু তার সহপাঠীদের অধিকাংশই ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় তিনিও তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মেডিসিনে ভর্তি হন।

সানজার ১৯৬৯ সালে ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অফ মেডিসিন শেষ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস" থেকে মলিকিউলার বায়োলজিতে পিএইচডি অর্জন করেন। তারপর ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগ দিয়ে Nucleotide Excision Repair এর উপর গবেষণা শুরু করেন।

এটির কাজ হলো মানুষের দেহকোষের বিভিন্ন প্রোটিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোষের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএগুলোকে মেরামত করে ফেলা। সানজারের এই আবিষ্কারটি ছিল জীবরসায়নবিদ্যার একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই আবিস্কার নিয়ে গবেষণার জন্যই ২০১৫ সালে তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার জয়লাভ করেন।

২০১৬ সালের ১৯ মে, তুরস্কের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা কামাল আতাতুর্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর ৯৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে সানজার তার নোবেল পুরস্কারের মেডেলটি এবং সার্টিফিকেটটি কামাল আতাতুর্কের সমাধি সংলগ্ন জাদুঘরে দান করে দেন।

তিনি ছিলেন তুরস্কের বিজ্ঞান একাডেমি এবং আমেরিকান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির একজন সম্মানিত সদস্য। তিনি সর্বপ্রথম তুরস্কীয়-আমেরিকান যিনি ২০০৫ সালে আমেরিকার জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্যপদ লাভ করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি গুয়েন বল্স সানকারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গুয়েন বল্স সানজারও উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন বিভাগের একজন প্রভাষক।

আজিজ সানজার বর্তমানে আমরিকার উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আজিজ এবং গুয়েন সানজার নামক প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা। এটি একটি অবাণিজ্যিক সংগঠন, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তুরস্কের সংস্কৃতির বিস্তার করা এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তুরস্কের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা। সূত্র: ‍উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ