শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রোজা সংরক্ষণে নবিজির নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 আওয়ার ইসলাম: মুসলমানের জীবনে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আছে, রোজা তার মধ্যে অন্যতম। কুরআন এবং হাদিসে এর গুরুত্বের কথা বহু জাগায় বর্ণিত হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে এর বিশাল ফজিলতের কথা। রোজাদার যখন যথাযথভাবে রোজার হক আদায় করবে, তখনই সে এই ফজিলতসমূহের যোগ্য হবে। তাই রোজার ফযিলতের বিষয়টা রোজা সংরক্ষণের সাথে সম্পর্ক রাখে। যার রোজা যতবেশি সংরক্ষিত সে ততো ভাগ্যবান।

মুসলিম হিসেবে প্রত্যেক রোজাদার সতর্ক। যেন কোন কারণে তার রোজা নষ্ট না হয়। কে চায় সারাদিনের কষ্টটা ভেস্তে যাক? তাই রমজান মাসে প্রত্যেকেই যার যার মত করে নিজকে গুটিয়ে ফেলে অন্যায় অপরাধ থেকে। সমাজে আমরা এর বাস্তবতাও দেখি। বেনামাজির মাথায় টুপি। ঘরে ঘরে কুরআনের আওয়াজ। এরপরও অনেক সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। দেখা যায়, ব্যক্তিগতভাবে সে অপরাধে আগ্রহী নয়, কিন্তু পরিস্থিতি তাকে অপরাধ করতে বাধ্য করছে। এমন অবস্থায় একজন রোজাদার কিভাবে তার রোজার সংরক্ষণ করবে? কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে নিজকে? আর নিজের মহামূল্যবান আমলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে।

উম্মতের কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ সা. পরিস্থিতির এ স্পর্শকাতর বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখেছেন। এ মুহূর্তে রোজাদার কিভাবে নিজের রোজা সংরক্ষণ করবে, এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, যদি কোনো রোজাদারের সাথে অন্য কেউ ঝগড়া করে অথবা তাকে গালি দেয়, তাহলে সে যেনো বলে, ‘আমি রোজাদার।’ বুখারি শরিফ : ১৮৫৬

এ হাদিসে নবিজি উম্মতকে সতর্ক করছেন। সাথে সাথে রোজা সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে হাদিসে বর্ণিত ‘আমি রোজাদার’ কথাটি বলার পদ্ধতি কেমন হবে, এ ব্যাপারে দুইটি মত পাওয়া যায়। এক মতে, রোজাদার ব্যক্তি গালিদাতাকে উদ্দেশ্য করে মুখে উচ্চারণ করে বলবে; ভাই আমি রোজাদার।  অন্যমতে, রোজাদার নিজকে সম্বোধন করে মনে মনে বলবে, আমি রোজাদার। এবং নিজকে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত রাখবে। (উক্ত হাদিসের টীকা দ্রষ্টব্য)

মোট কথা, যখনই কোনো রোজাদার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, রাসুলের এ নির্দেশনাকে আমলে আনবে। সংরক্ষণ করবে নিজের রোজাকে। সতর্ক থাকবে, যেনো অন্যের কারণে নষ্ট না হয় নিজের মূল্যবান এ ইবাদত। যেন হাতছাড়া না হয়, রোজার ঘোষিত ফাজায়েল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ