শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

কিভাবে এ মহিমান্বিত মাসটি কাটাবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শায়খ আহমাদুল্লাহ।।

রমজান মাস, আপনি কিভাবে কাটাবেন- এ ক্ষেত্র প্রথম কথা হলো, রমজান মাসে যদিও নফল কাজ করতে পারলেন না, যদিও বিশেষ ইবাদত করতে পারেলেন না, রাত জেগে কান্নাকাটি করার তোফিক হলো না, একটি কাজ আপনি যদি করেন, গোটা রমজান জুড়ে পরিকল্পনা করেন।

একটি কাজ আমল করতে পারলে ইনশাল্লাহ আপনার রমজান ৫০% সফল ও সার্থক হবে। সেই একটি কাজ হলো - রমজান মাসে কোন প্রকার হারামের কাছেও যাবো না। অন্য সময় যাই করি না করি। এ একটি মাস হারামের কাছে যাবো না।

যদি হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকেন তাহলে সবচেয়ে ইবাদত বোঝার হয়ে গেলেন। আমাদের প্রিয় নবি সা. তার এক সাহাবিকে বলেন, আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মসমূহ থেকে বেঁচে থাক, অর্থাৎ হারাম কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখো নিজেকে তাহলে তুমি হবে সমাজের সবচেয়ে বড় আবেদ।

আমাদের সমাজের সবচেয়ে আবেদ বলা হয়, যদি কোন ব্যাক্তি সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখবেন। যে বেশি নফল তাসবিহ পড়ে, যে বেশি মসজিদে অবস্থান করেন। যে বেশি নফল নামাজ পড়ে এগুলোকে ইবাদত বেশি মনে করি সন্দেহ নাই এগুলো ইবাদত।

এগুলো শুধু করলে এ সমাজের ইবাদত হতে পারবেন না। সবচেয়ে ইবাদত গুজার হাওয়ার জন্য, আমাদের নবী রাসূল সা. যেটি ভালোবাসেন এগুলো মধ্যে অন্যতম হলো- হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকা।

একজন মানুষ অনেক নফল ইবাদত করেন। ভালো কাজ করেন আবার এদিকে হারামের সাথে সম্পৃক্ত করেন তাহলে তিনি ইবাদত গুজার হতে পারবেন না কোনদিন, আপনি শুধু মৌলিক ফরজ কাজ গুলো করছেন। আর সুদ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন আল্লাহর নিকট আপনি হবেন সবচেয়ে এই সমাজের ইবাদত গুজার।

আপনার রমজানে যেভাবে কাটানো উঠিত সেভাবে সমানে রেখে একটি পরিকল্পনা করি, আমার দ্বারা সচারচর হারাম কাজগুলো হয়ে থাকে আমি এই মাসে হারামের পথে পা বাড়াবোনা। যেমন - মুখ দিয়ে গীবত, অন্যের দুষ চর্চা করা এবার এই কাজটি করবো না।

এখন থেকে চেষ্টা করা আমি আমার এই মুখ দিয়ে কারো সমালোচনা করবো না। এই রমজান মাসে হারাম থেকে বাঁচার জন্য তালিকা করতে হবে। আমরা সাধারণত হারাজ কাজ গুলো করি, মুখ দিয়ে গীবত করি, গালিগালাজ করি।

সবচেয়ে গোনাহ হয়ে থাকে তাহলো চোখের গোনাহ। হারাম জিনিস দেখা, যেটি টেলিভিশন হোক, মোবাইল হোক অথবা বাস্তবে হোক।

পুরুষদের জন্য নর নারী দৃষ্টি করা হারাম। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের সমাজের যে হারাম কাজটি বেশি পরিমাণ হয় এই হারাম কাজটি তা হলো চোখের গোনাহ। আপনি হিসাব করে দেখেন অন্য কোন গুনাহ বেশি পরিমান হয় না।

এমনকি গীবত বেশি হয় না। প্রতি মিনিটে আমরা সাধারণত চোখের জিনাহ করে থাকি, টেলিভিশন থেকে ফেসবুকে মোবাইলে প্রতিটি মূহতে এই গোনাহ করে থাকি।

তাই রমজান মাসে পরিকল্পনা করুন, কোন গোনাহ সাথে সম্পর্ক রাখবো না, রমজানে প্রচুর পরিমাণ নফল ইবাদতে করলেও হারাম কাজের সম্পৃক্ত হলে নফল আমলের কোন লাভ হবে না। এই রমজান মাসে সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত রাখি, এ মাসে ৩০ দিন ৫ ওয়াক্ত জামাতের সাথে আদায় করতে পারি আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলের আমলে কাবুল করুন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড ইবাদতের কাজে ব্যয় করার তাওফিক দান করুন।

আমরা তওবা করে গুনাহ মাফের চেষ্টা করি। রমজানের প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মূহুর্ত আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তওবা করে মাফ চাইবো। আল্লাহ সবাইকে সেই তাওফিক দান করুন।

তাই এই সময়টা আমরা আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে কথা বলে কাটাই। তার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করি। লম্বা সময় নিয়ে ইবাদত বন্দেগি করি। আল্লাহ সবাইকে সেই তাওফিক দান করুন।

লেখক: বিশিষ্ট দা’য়ী ও ইসলামি আলোচক। অনুলিখন: রফিকুল ইসলাম জসিম

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ