আওয়ার ইসলাম: করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। শনিবার ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই নমুনা কিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া হয়।
তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য করোনা ভাইরাস টেস্টিং কিট সরকারের কাছে হস্তান্তরের কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল না সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে সিডিসি কনফার্ম করেছিল আসবে, একমাত্র তারাই এসেছে। সিডিসিকেই আমরা দিয়ে দেব। বাকিদেরকে আমরা কালকে সরকারিভাবে প্রত্যেকের অফিসে পৌঁছে দেব। আমাদের দুঃখ, আপনাদের সামনে হস্তান্তর করতে পারছি না।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) আমাকে জানিয়েছেন, আজকে তারা আসতে পারবেন না। জানি না, আজকে তারা কেন আসতে পারলেন না। মন্ত্রীকেও (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) আমরা তিন দিন আগে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি। মন্ত্রী এখন অত্যন্ত ব্যস্ত মানুষ। হতেই পারে। কারণে-অকারণে অনেক ব্যস্ত আছেন, লেনদেনের ব্যাপারও হয়তো আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটোরিকেও আমন্ত্রণ করেছিলাম। তারা অনুমতি পাননি বলে আসতে পারবেন না। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমএসইউ) চেয়ারম্যান ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ, তাই আসতে পারলেন না।
গত ১৭ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনের সরকারি অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি।
করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের ‘জিআর র্যাপিড ডট বট ইমিউনোঅ্যাসি’ কিট তৈরির জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন ড. বিজন কুমার শীল। গবেষক দলের অন্যদের মাঝে আছেন- ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ ও সিঙ্গাপুরের একজন গবেষক।
৫ই এপ্রিল চীন থেকে কিট তৈরির কাঁচামাল আমদানি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ২০শে এপ্রিল এ কিট জমা দেয়ার কথা থাকলেও বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে তা পিছিয়ে যায়। এছাড়া করোনা রোগীর রক্ত সংগ্রহেও বেগ পেতে হয় হয় বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় পরে রক্ত সংগ্রহ করা হয়।
-এএ