মাওলানা মামুনুর রশিদ মাহমূদী।।
রহমত মাগফিরাত নাজাতের বার্তা নিয়ে এল মাহে রমজান। প্রিয় নবি সা. বলেন রমজানের প্রথম অংশ রহমত বা দয়া, করুণা; মাঝের অংশ মাগফিরাত বা ক্ষমা; শেষাংশ নাজাত বা মুক্তি। (বায়হাকি শরিফ)। রহমতের বারিতে সিঞ্চিত হয়ে, ক্ষমার মহিমায় উদ্বেলিত নবজীবন লাভ করে, নাজাত তথা অনন্ত মুক্তির নবদিগন্তের জান্নাতি আহ্বানে অফুরান কল্যাণের।
এ মাসে আল্লাহর থেকে রহমত আর মাগফিরাত আর নাজাত নিতে পারলেই মুমিনজীবন স্বার্থক বলে মনে করি। তাই রমজানে কিছু দোয়া আছে যেগুলো আমাদের আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহযোগিতা করবে।
ইফতারির শুরুতে পড়ুন! يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اغْفِرْ لِي
বাংলা উচ্চারণঃ ইয়া ওয়াসিআল মাগফিরাহ! ইগফিরলী…। {শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩৬২০]
তারপর ইফতার শুরু করতে পড়বে- اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ، وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফতারতু। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৩৫৮, মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৭৫৪৯]
ইফতার শেষে পড়ুবে- ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
জাহাবাজ জামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু, ওয়াছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহু। [আবু দাউদ, হাদীস নং-২৩৫৭]
অন্যান্য ইবাদত আদায়ের জন্য যেমন নিয়ত করা শর্ত। তেমনি রোযার জন্যও নিয়ত করা শর্ত। তবে এটি নির্দিষ্ট কোন শব্দের দ্বারা নয়। মনে মনে এ নিয়ত থাকলেই হবে যে, আমি রমজানের ফরজ রোযা রাখার উদ্দেশ্যে সেহরি খাচ্ছি। উক্ত বিষয়টি মনে মনে থাকলেই হবে। মুখে কোন কিছু বলা জরুরি নয়।
আর সেহরির জন্য বিশেষ কোন দোয়ার কথাও পাওয়া যায় না। তবে যেহেতু এটি শেষ রাত্র। আর শেষ রাত্রে দোয়া করার সময়। তা’ই যেকোন দোয়াই করা যাবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ : مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ ) . رواه البخاري (১০৯৪) ومسلم (৭৫৮)
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিক্ষক -বাইতুল ফালাহ মাদ্রাসা, মানিকনগর, ঢাকা -১২০৩।
-এটি