শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

হাদিসের আলোকে করোনার চিকিৎসা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম।।

ইতিমধ্যে কভিড-১৯ এর ভয়াল থাবায় সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে। এমতাবস্থায় রাসুলুল্লাহ সা. এর বেশ কিছু হাদীস আশার আলো দেখাতে পারে। যদিও বিজ্ঞানীরা করোনার উপযুক্ত চিকিৎসা আবিষ্কারে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে; কিন্তু অদ্যাবধি তারা এর কোনো সমাধান খুঁজে বের করতে পারেনি। তবে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্যই এর চিকিৎসা রয়েছে।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। মুসলমান বিশ্বাস করে, জন্ম এবং মৃত্যু আল্লাহ তা'য়ালার হাতে। সাথে সাথে ইসলাম এও বলে, এমন কোনো রোগ নেই, যার চিকিৎসা নেই।

ভাইরাস সংক্রমণজনিত রোগের ব্যাপারে মুহাম্মদ সা. এর বক্তব্য

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সা. এর কাছে মহামারী সম্পর্কে জানতে চাইলেন। রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বললেন, মহামারী হলো আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে একটি শাস্তি, তবে মু’মিনদের জন্য এটি রহমতস্বরূপ। মু’মিনদের মধ্য থেকে যারাই মহামারী কবলিত এলাকায় ধৈর্য্য ধারণ করে অবস্থান করে এবং এই বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্য যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, তা-ই সে ভোগ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তাদেরকে শহীদী মর্যাদা দান করবেন। – সহীহ বুখারী: ৫৭৩৪

cure of coronavirus honey

উপরোক্ত হাদীসটিতে মহামারীকে মু'মিনের জন্য রহমত বলা হয়েছে এবং মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে কোনো মু'মিন মারা গেলে তাঁকে শহীদী মর্যাদা দান করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

তদুপরি মুসলমান মনে করে, বর্তমানে যা কিছু ঘটে যাচ্ছে এর সবটাই আল্লাহ তা'য়ালার নিয়ন্ত্রণাধীন। মৃত্যুর স্থান-কাল-পাত্র পূর্বনির্ধারিত। সুতরাং মু'মিনের তাঁর জন্য নির্ধারিত কোনো বিষয় নিয়ে শঙ্কিত থাকা উচিত নয়।

রাসুলুল্লাহ সা. একটি হাদীসে উল্লেখ করেন, মহামারী কবলিত এলাকায় কোনো মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না, এবং কেউ আক্রান্ত এলাকা থেকে বেরও হতে পারবে না। এর মানে হলো, যদিও জন্ম-মৃত্যু আল্লাহ তা'য়ালা কর্তৃক নির্ধারিত, তারপরও নিজের এবং অন্যের সুস্থতা নিশ্চিত করবার জন্য চেষ্টা করা জরুরি।

হাদিসের আলোকে করোনার চিকিৎসা

cure of coronavirus black seed islam

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. কোনো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হলে সূরা নাস ও সূরা ফালাক পাঠ করে নিজের সারা শরীরে দম করতেন। যখন তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যেতো, তখন আমি উক্ত সূরাদ্বয় পাঠ করে তাঁর সারা শরীরে দম করতাম এবং তাঁর (বরকতের জন্য) নিজের হাত দিয়েই তাঁর শরীর মর্দন করে দিতাম। মা'মার রা. আজ জুহরী রা. কে রাসুলুল্লাহ সা. এর দম করার পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। আজ জুহরী রা. বললেন, তিনি প্রথমে তাঁর দু'হাতের মধ্যে দম করতেন, অতঃপর হাত দুটি তাঁর চেহারাসহ সারা শরীরে বুলিয়ে দিতেন।

উপরোক্ত হাদীস অনুযায়ী বোঝা গেলো, সূরা নাস ও সূরা ফালাক যেকোনো রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখতে পারে।

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, তিন জিনিসের মধ্যে শেফা রয়েছে। যথা- এক ঢোক মধু, শিঙা নেওয়া এবং অগ্নিদগ্ধ করা। তবে আমার উম্মতের জন্য আগুনে পুড়িয়ে চিকিৎসা নেওয়া হারাম।

উপরোল্লেখিত হাদীসে মধুপান ও হিজামা তথা শিঙা নেওয়াকে শেফা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, কেউ যদি নিয়মিত প্রতি মাসে তিন দিন করে সকালে মধু পান করে, তাহলে সে কোনো প্রকার মারাত্মক রোগে ভুগবে না।

এখানেও রাসুলুল্লাহ সা. মধুকে শেফার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই সকলেরই উচিত প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে মধু পান করা।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, তোমরা কালোজিরা সেবন করো; কেননা এটি মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের শেফা।

কালোজিরাতেও বেশ কিছু আরোগ্যদায়ক উপাদান রয়েছে। অভিজ্ঞজনদের মতানুযায়ী কালোজিরা গত ২০০০ বছর যাবত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালোজিরাতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ছত্রাক ও ভাইরাস ধ্বংসকারী বিভিন্ন উপাদান।

মুসলমানগণ যেভাবে করোনা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, আল্লাহ তা'য়ালা এমন কোনো রোগ দেন না যার চিকিৎসা নেই।

তবুও বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলো মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এসব ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনে তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল এর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এছাড়া হালাল সুষম খাদ্য গ্রহণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যাদের শরীরে ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে, তাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নেই।

দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন থেকে ফরহাদ খান নাঈমের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ