রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবিতে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের আহ্বান’ শপথ নিলেন নতুন ৩ উপদেষ্টা খেলাফত মজলিস নিউইয়র্ক শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের তালিকা চূড়ান্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি শায়খ আহমাদুল্লাহকে একুশে পদক প্রদানের প্রস্তাব কেন, জানালেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মঞ্চে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী সড়ক দুর্ঘটনায় ইমামের মৃত্যু ফ্যাসিস্ট ও বাতিল মোকাবেলায় সোচ্চার থাকবে হেফাজতের যাত্রাবাড়ী ৪৮নং ওয়ার্ড কর্মীরা বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের আকার, শপথ সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার দখলে জিরো পয়েন্ট, খোঁজ নেই আ.লীগের

করোনার সংক্রমণ নিয়ে জাস্টিস আল্লামা তাকি উসমানীর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এস.এম. তাকী (শোয়াইব মুহাম্মদ তাকী)।।

বর্তমান সময়ে করোনা সারা পৃথিবীতে একটি বিরাট মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। সে প্রেক্ষিতে কিছু মানুষ মনে করেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত আবশ্যকীয়, আবার অপর কিছু মানুষ মনে করেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা তাওয়াক্কুলের খেলাফ তথা আল্লাহর উপর ভরসা না থাকার বহিঃপ্রকাশ।

ফলে এ সম্পর্কে মানুষের মনে বিভিন্ন দ্বিধা ও প্রশ্ন জেগে উঠেছে। তাই এ বিষয়ে সমস্ত দ্বিধা ও ভ্রান্তি নিরসনে জাস্টিস আল্লামা তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ এর একটি বক্তব্য তুলে ধরা সমীচীন মনে করছি।

আল্লামা তাকি উসমানী এক ভিডিও বার্তায় বলেন, বর্তমান সমাজে মানুষের মাঝে একটি ভুল কথা প্রচলন আছে। সেটি হচ্ছে, কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে তার থেকে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় তার নিকটবর্তী হওয়া যাবে না। এটি ইসলামে অসমর্থিত এবং শরিয়তের মানদণ্ডে সম্পূর্ণ ভুল। সংক্রমণ হয়। আবশ্যকীয়ভাবে সংক্রমণ হয় এটা ভুল।

এধরনের বিশ্বাস জাহিলিয়্যাতের যুগে লোকদের মাঝে ছিল। এমনকি তারা মনে করত, যদি কোন মানুষ অসুস্থ হয় তাহলে তার রোগ আবশ্যিকভাবে অন্যের মাঝে সংক্রমিত হয়। সর্বাবস্থায় সংক্রমণ হয়। তবে ইসলামের সোনালী যুগে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এধরনের বিশ্বাসকে ভ্রান্ত বলে আখ্যায়িত করেন। সংক্রমণ সম্পর্কে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- فر من المجذوم فرارك من الأسد" অর্থ- তোমরা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে এমন ভাবে পলায়ন কর যেমন তোমরা পলায়ন কর হিংস্রপ্রাণী থেকে। অর্থ্যাৎ- তোমরা এধনের রোগী থেকে সতর্কতা অবলম্বন কর, কেননা হতে পারে তার থেকে রোগ আমাদের মাঝে সংক্রমিত হবে।

তবে এটা আবশ্যক নয় যে, সংক্রমণ হবেই বরং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। لا عدوى ولا طيرة ... الخ এ হাদিসটি দ্বারাও এমনটি-ই বুঝা যায়।

মোটকথা:- কোন রোগ সংক্রমণ হবেই, বা কোন রোগী থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা যাবে না, এ দুই কথার কোনটিই ইসলাম সমর্থন করে না। বরং সতর্কতা অবলম্বন করাই শরিয়ত সমর্থিত। এ কঠিন মুহূর্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই ইসলাম সমর্থিত।

সুতরাং, রোগী থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা তাওয়াক্কুলের খেলাফ তথা আল্লাহর উপর ভরসা না থাকার বহিঃপ্রকাশ। এরূপ কথা সম্পূর্ণ একটি অজ্ঞতা পূর্ণ বক্তব্য। তার সাথে শরিয়তের কোন সম্পর্ক নেই। বরং নিজে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকা। অবশেষে যদি সে রোগে আক্রান্ত হয়েই যায়, তাহলে আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট থাকা এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকা।

অতএব- বর্তমান সময়ে রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে যে সকল জায়েজ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে সেগুলো আমাদের জন্য মানা উচিৎ এবং শরিয়ত সমর্থিত।

আল্লামা তাকি উমানীর ভিডিও বার্তা থেকে এস.এম. তাকী (শোয়াইব মুহাম্মদ তাকী)র অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ