আওয়ার ইসলাম: সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছ।
খবরে জানানো হয়, সৌদির এক নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। আক্রান্ত ব্যক্তি সম্প্রতি ইরান থেকে বাহরাইন হয়ে দেশে ফিরেছেন।
এদিকে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ২৫টি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে কোয়ারেনটাইনের জন্য ২ হাজার ২০০ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে।
দেশটিতে ওমরা যাত্রী ও পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর মসজিদে হারামে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার, উমরা পালনকারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও বিশেষ হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে। গৃহীত পদক্ষেপের আওতায় পুরনো কার্পেট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় জোর দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আগে থেকে উপস্থিত ওমরাযাত্রী, নামাজী ও মসজিদে হারামের নানাস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান ইবনে আবদুল আজিজ আস সুদাইস করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে মসজিদে হারাম পরিষ্কার করার কাজে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে স্প্রে ব্যবহার উদ্বোধন করেছেন।
নতুন প্রযুক্তি সম্বলিত মেশিনের মাধ্যমে মসজিদে হারামের মেঝে ও দেয়ালে জীবাণুনাশক বিশেষ ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের কার্পেট, প্রবেশপথে ও স্টোররুমে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন বসানো হয়েছে।
মসজিদে হারামের অজুখানা, বাথরুমে সাধারণ হ্যান্ডওয়াশের পাশাপাশি জীবাণূনাশক হ্যান্ডওয়াশ স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ওমরা যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পর উমরা পালন করে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার যাত্রী। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় দেশটিতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ওমরাযাত্রী অবস্থান করছিল।
সূত্র: আল জাজিরা, আল আরাবিয়া, বার্তা২৪
আরএম/