আওয়ার ইসলাম: বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ১৫ দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আফসারা আনিকা মিম নামের এই শিক্ষার্থী বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধীনে ব্যাচেলর অব ডিজাইন বিষয়ে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।
সম্প্রতি তিনি সিএএ বিরোধী কিছু ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরই প্রেক্ষিতে তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আফসারার এক বন্ধু গণমাধ্যমকে জানায়, মূলত তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি পাঠানো হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিএএ বিরোধী পোস্ট দিয়ে ভিসা পাওয়ার শর্তাবলী ভঙ্গ করেছেন আফসারা। তিনি এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন।’
এদিকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ভারতীয় গণমাধ্যম স্ক্রল ডট ইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আফসারা বলেন, কৌতুহলবশত সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের কিছু ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। পরে ফেসবুকে তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, কেউ হয়তো তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মূলত বিরোধী মতকে দমন করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। পাশাপাশি আফসারার ক্যারিয়ারও ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কিছু জানেন না। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে কমিশনের কিছু করার নেই।
উল্লেখ্য, আফসারা আনিকা মিমের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি ২০১৮ সালের শেষ দিকে পড়াশোনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
-এটি