ওমর আলফারুক।।
হুসাইন মুহম্মদ তাহির। পাঁচ বছরের অন্ধ শিশু। রেডিও থেকে তিলাওয়াত শুনে শুনে সে সম্পূর্ণ কুরআন শরিফ মুখস্থ করে ফেলে। হুসাইন জন্মগতভাবেই অন্ধ। পূর্ণ কুরআন শরিফ মুখস্থ করতে তার সময় লাগে মাত্র তিন বছর।
হুসাইন তার বাবা মায়ের সাথে মক্কার জেদ্দাহ শহরের বসবাস করতো। রেডিওর মাধ্যমে হুসাইন প্রথম কুরআনের সাথে পরিচিত হয়। তার বাবা মুহাম্মদ তাহির টিভি দেখতে পারবে না বলে তার জন্য একটি রেডিও কিনে আনেন। নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত হয় এমন একটি স্টেশন ফিক্সড করে দেন। তিনি চাইছিলেন একদম ছোটকাল থেকে কুরআনের সাথে তার সন্তানের সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। এভাবে তিন বছরের মধ্যে হুসাইন যে প্রায় পুরো কুরআন শরিফ মুখস্থ করে ফেলছিল, তা তার বাবা জানেতেনই না।
তারা সপরিবারে মদিনায় বাস শুরু করলে হুসাইন নবিজির রওজা মোবারক জিয়ারত করার কথা তার বাবাকে বলে। সুরা বাকারার নির্দিষ্ট কয়েকটি আয়াত মুখস্থ করার শর্তে তাহির তার ছেলেকে নিয়ে রওজা মোবারকে যেতে রাজি হন। হুসাইন সেই বৈঠকেই পূর্ণ সুরা মুখস্থ শুনিয়ে তার বাবাকে তাক লাগিয়ে দেয়।
তাহির তার ছেলের কুরআন মুখস্থ করার ব্যাপার জানার পর তার মুখস্থের ব্যাপারে জানার জন্য হুসাইনকে অনেক শিক্ষকের কাছে যান। সবাই তার হিফজের স্বীকৃতি দেন। তিলাওয়াত গত কিছু সমস্যা তার ছিলো। যেহেতু সে না দেখে কেবল শুনে শুনে মুখস্থ করেছে। প্রাথমিক কিছু পরামর্শের ভিত্তিতে এগুলাও সে খুব দ্রুত কাটিয়ে ওঠে। এরপর হুসাইন মসজিদে নববির পাশে অবস্থিত অন্ধ শিশুদের কুরআন মুখস্থ করার একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়।
হুসাইনের বাবা মুহাম্মদ তাহির বলেন, আমার সন্তানের কুরআন শরিফ মুখস্থ করণের মধ্য দিয়ে আমি তার বাকি প্রবলেমগুলো বেমালুম ভুলে গেছি। আমি বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, আমার সন্তান গড গিফটেড, আল্লাহ প্রদত্ত সবিশেষ উপহার।
- দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন ডট কম থেকে ওমর আলফারুকের অনুবাদ
-এটি