আওয়ার ইসলাম।।
জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানী বলেছেন, ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু হলে আমাদের আর কোন নেয়ামতের প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আমাদের ঈমানের নেয়ামত দিয়েছেন, কিন্তু আমরা এটা নিশ্চিতভাবে কখনো বলতে পারবো না আমাদের মৃত্যু ঈমানের সাথে হবে কিনা! যদি আমাদের মৃত্যু ঈমানের উপরে হয়, তবেই আমরা সফল। আমাদের মানুষ হিসেবে বানানো সার্থক।
গতকাল মঙ্গলবার মাগরিবের পর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলূম আফতাবনগর মসজিদ-মাদরাসা কমপ্লেক্সে আয়োজিত ইসলাহি জোড়ে মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানী এসব কথা বলেন।
পৃথিবীর সবকিছু মানুষের জন্য, মানুষ আল্লাহর জন্য উল্লেখ করে মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য, আর পৃথিবী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। তাই তো মানুষ আসমান, জমিন, চাঁদ, সূর্য, পাহাড়, পর্বত, বৃষ্টি, পানি, বাতাস, পশু-পাখি ও অন্যান্য সৃষ্টির মুখাপেক্ষী।’
তিনি বলেন, বান্দার উপর আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত বিরামহীন চলমান, তার শুকরিয়া আদায় করতে বান্দা অক্ষম। এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুই আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণের জন্য বানিয়েছন। এই উম্মতের উপর আল্লাহর অনুগ্রহরাজি ও নেয়ামত অসংখ্য, তা হিসাবের অতীত। তা এত বিপুল, যা পরিসংখ্যান করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, শুধু মুখে মুখে নেয়ামত শুকরিয়া আদায় করলে শুকরিয়া আদায় হয়ে যায় না, বরং আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালনে গুরুত্ব গুরুত্বারোপ, আমল ও ইবাদতে, মুহাম্মদ সা.-এর অনুসরণে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় হয়। আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসার পাশাপাশি মুহাম্মদ সা.-কেও ভালোবাসতে হবে। কারণ, ঈমান পূর্ণতা পায় রাসূল সা.-কে ভালোবাসায়।
আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুম মাদরাসার ইসলাহি জোড়ে উল্লেযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা আব্দুল মতিন, শাইখুল হাদিস জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর। ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, খলিফা, পীরে কামেল আবদুল হাফিজ মক্কী রহ.। মাওলানা আবদুর রশীদ।
মাওলানা আবদুস সালাম (বসুন্ধরা মাদরাসা), মাওলানা আবদুর রহমান ফরাজী (নরসিংদী), মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ (খলিফা, মাওলানা মাহমুদ মাদানী), মাওলানা নুরুল আলম নদভী (খলিফা, পীর কামেল মাওলানা আবদুল মতিন), মাওলানা শওকত আলী কাসেমী (নরসিংদী), মাওলান আমীনুল্লাহ (খলিফা, ফিদায়ে মিল্লাত), মাওলানা ওলিউল্লাহ (সাভার), মুফতি মনসুরুল হক।
মাওলানা আবদুল হক (জামিয়া ইউনুসিয়া বিবাড়িয়া), আনন্দনগর বড় মসজিদের খতিব মাওলানা হারুনুর রশীদ। বাড্ডা থানা মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাওলানা হুসাইনুল বান্না, জহিরুল ইসলাম সিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কামাল হুসাইন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবু তাহের, গুলশান নিকেতনের সেক্রেটারী সফিউজ্জামান আরিফ প্রমুখ।
বয়ান শেষে মাওলানা মাহমুদ মাদনীর হাতে উপস্থিত জনতার অধিকাংশই বাইআত গ্রহণ করেন।
-এটি